ভিতরে

করোনায় চট্টগ্রামে আক্রান্ত ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে নতুন ২২৫ জনের নমুনায় জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ২৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় ৩ রোগীর মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর দশটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ৯১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ২২৫ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের ১৩১ জন ও বারো উপজেলার ৯৪ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফটিকছড়িতে ৩৪, হাটহাজারীতে ২১, রাঙ্গুনিয়ায় ১৫, আনোয়ারায় ৭, সীতাকুন্ড ও রাউজানে ৪ জন করে, পটিয়া, বোয়ালখালী ও ভুজপুরে ২ জন করে এবং মিরসরাই, চন্দনাইশ ও বাঁশখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫৫ হাজার ৩২ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৩ হাজার ৫২৫ জন ও গ্রামের ১১ হাজার ৫০৭ জন।
গতকাল করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিন জন মারা গেছে। তিনজনই গ্রামের। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৪৫ জন হয়েছে। এতে শহরের ৪৫৩ জন ও গ্রামের ১৯২ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৬১৮ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৪৬ হাজার ৮০৯ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৬ হাজার ১১৬ জন এবং বাসা থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪০ হাজার ৬৯৩ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩৫ জন ও ছাড়পত্র নেন ১৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১০৪ জন।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি আজ বাসস’কে জানান, ‘সংক্রমণ হার হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক। বিশেষ করে আগের দিনে মাসের সর্বনি¤œ অবস্থান থেকে এক লাফে চূড়ায় ওঠে যাওয়া পরিচিত চিত্রের সাথে মিলে না। নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষায় আরো সতর্ক হওয়ার জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকালের রিপোর্টের ফলাফল সব দিক থেকে নেতিবাচক। তিনজনের মৃত্যুর পাশাপাশি সংক্রমণ হার অস্বাভাবিক হারে বেড়ে সর্বোচ্চ স্থানে ওঠে এসেছে। উপজেলা পর্যায়ে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। অথচ, ঠিক একদিন আগে সংক্রমণ হার মাসের সর্বনি¤œ ৯ দশমিক ০৪ শতাংশ রেকর্ড হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে। এখানে ২৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩৬ জন ও গ্রামের ৭৮ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ১৯৭টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ২টিসহ ২২টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১০৫টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ২টিসহ ১১টিতে করোনার জীবাণুর উপস্থিতি মিলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮০ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ২ জনসহ ১৭ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ২০টি নমুনায় শহরের ৪ ও গ্রামের ৪টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১শ’টি নমুনা পরীক্ষা হলে গ্রামের ১টিসহ ২৫টি, শেভরনে ৮৩টি নমুনার মধ্যে শহরের গ্রামের একটিসহ ১১টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ১১টি নমুনায় শহরের ২ ও গ্রামের ১টি, মেডিকেল সেন্টারে ১৬টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫টিতে এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ১৮টি নমুনায় গ্রামের ৩টিসহ ৯টিতে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ৫ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে চবিতে ৪০ দশমিক ৭১ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১১ দশমিক ১৭, সিভাসু’তে ১০ দশমিক ৪৭, চমেকে ২১ দশমিক ২৫, আরটিআরএলে ৪০ শতাংশ, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৫, শেভরনে ১৩ দশমিক ২৫, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৭ দশমিক ২৭, মেডিকেল সেন্টারে ৩১ দশমিক ২৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫০ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

বাইডেন ন্যাটো ও ইইউ নেতাদের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে যোগদানের লক্ষ্যে ব্রাসেলসে পৌঁছেছেন

ভার্চুয়াল শুনানিতে ১ হাজার ৪৮ শিশুর জামিন