ভিতরে

যশোরাঞ্চলে বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শুরু : ফলনে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম

গ্রীষ্মের তাপদাহেও বোরোর সোনালি ধানের মিষ্টি গন্ধে মাতোয়ারা যশোরাঞ্চলের কৃষকরা। তারা আনন্দের সাথে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু করেছেন। ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষাণ-কৃষাণির। বেশ উৎফুল্লতার সাথে ধান কাটা-মাড়াই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
যশোর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হওয়ায় যশোর অঞ্চলের ইরি-বোরো ফলনেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
যশোর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক জাহিদুল আমিন জানান, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ এই ছয় জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমি। তবে তা ছাড়িয়ে গিয়ে আবাদ হয়েছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৯৬১ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ হাজার ১৮১ হেক্টর বেশি জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে যশোর জেলায় হাইব্রিড ধান ২৭ হাজার ৫৪৫ হেক্টর ও উচ্চ ফলনশীল ১ লাখ ৩০ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলায় হাইব্রিড ধান ৮ হাজার ২১৭ হেক্টর ও উচ্চ ফলনশীল ৭২ হাজার ১৭ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। মাগুরা জেলায় হাইব্রিড ধান ৭ হাজার ৫৮০ হেক্টর ও উচ্চ ফলনশীল ৩২ হাজার ২৪১ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলায় হাইব্রিড ধান ৪ হাজার ৬৯৫ হেক্টর ও উচ্চ ফলনশীল ৩০ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় হাইব্রিড ধান ২ হাজার ৪৬১ হেক্টর ও উচ্চ ফলনশীল ৩৩ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে এবং মেহেরপুর জেলায় হাইব্রিড ধান ১ হাজার ৫৮০ হেক্টর ও উচ্চ ফলনশীল ১৭ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।
জাহিদুল আমিন জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আবাদ হওয়া মোট জমির ৯ শতাংশ ফসল কর্তন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে ফসল কাটার কাজ সম্পন্ন হবে। এবছরে চালের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯৮৩ টন ধান কেটে ঘরে তোলার আগে যদি শিলাবৃষ্টি না হয় তবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উদ্বৃত্ত হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে সচ্ছলতার হাসি নিয়ে কৃষাণ-কৃষাণির দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে মাঠের সোনালি ফসল ঘরে আসতে শুরু করেছে। তাদের আঙিনা ভরে উঠছে সোনালি শস্যে; মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। ফসলের মৌ-মৌ গন্ধে ভরে উঠছে সারা বাড়ি। উঠোনে ছড়ানো সোনালি ধান। সাথে আনন্দের বন্যা। ঘরে-ঘরে উৎসব। তাই কন্যা-জায়া-জননীর ব্যস্ততা এখন দিনরাত।
যশোর মণিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের যোগীপোল গ্রামের প্রবীণ কৃষক শচীন্দ্র নাথ দাস জানান, দেড়বিঘা জমিতে চিকন জাতের (২৮) হাইব্রিড ধান আবাদ করেছিলাম। ফলন বেশ ভাল হয়েছে। ধান কাটা হয়ে গেছে। এখন বাড়িতে আনার অপেক্ষা। কাঠায় দেড় মণ করে ধান পাবেন বলে তিনি জানান।
একই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবছর বোরোর ফলন বেশ ভাল হয়েছে। তিনি প্রায় ১ একর জমিতে এ ধান চাষ করেছেন। ধান কাটা শুরু করেছেন। এখনও কাটা শেষ হয়নি। তবে এ সপ্তাহেই সব ধান ঘরে চলে আসবে বলে তিনি জানান।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট
উত্তর দিন

মন্তব্য করুন

উগ্র সাম্প্রদায়িক দানবের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি : সেতুমন্ত্রী

ভারত ও পাকিস্তান থেকে ৩০ দিনের জন্য যাত্রীবাহী ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে কানাডা