ভিতরে

শান্ত-মোমিনুলের ব্যাটিং নৈপুন্যে রানের পাহাড়ে বাংলাদেশ

নাজমুল হোসেন শান্তর পর শ্রীলংকার বিপক্ষে ক্যান্ডি টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মোমিনুল হক। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। তবে দ্বিতীয় সেশনেই আউট হন শান্ত-মোমিনুল। শান্ত ১৬৩ ও মোমিনুল ১২৭ রান করেন। শান্ত-মোমিনুলের এমন ইনিংসের সুবাদে দ্বিতীয় দিন শেষে রানের পাহাড়ে চড়েছে বাংলাদেশ। আলো স্বল্পতার কারনে দিনের খেলা ২৫ ওভার আগেই শেষ হয়। এসময় বাংলাদেশের স্কোর ছিলো ১৫৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৭৪ রান।
ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্টের প্রথম দিন শেষে ২ উইকেটে ৩০২ রান করেছিলো বাংলাদেশ। শান্ত ১২৬ ও মোমিনুল ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আজও দিনের শুরু থেকেই শ্রীলংকার বোলারদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলছিলেন শান্ত ও মোমিনুল। সেঞ্চুরির স্বপ্ন নিয়ে দিন শুরু করেন মোমিনুল। তবে এই স্বপ্নটা অনেক বড় ছিলো মোমিনুলের। কারন টেস্ট ক্যারিয়ারে ১০টি সেঞ্চুরি থাকলেও, বিদেশের মাটিতে কোন সেঞ্চুরি নেই টাইগার অধিনায়কের।
তাই বিদেশের মাটিতে সেঞ্চুরির বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে বেশ সর্তকই ছিলেন মোমিনুল। অবশেষে দিনের ১১তম ওভারে বিদেশের মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ হয় তার। শ্রীলংকার স্পিনার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ব্যাক-ওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি তুলে নেন মোমিনুল। ২২৪তম বলে কাঙ্খিত সেঞ্চুরির দেখা পান মোমিনুল। ৪৩ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ১১তম ও শ্রীলংকার বিপক্ষে চতুর্থ সেঞ্চুরি বাংলাদেশ অধিনায়কের।
কিছুক্ষণ পরই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংসকে দেড়শতে নিয়ে যান শান্ত। বাংলাদেশের ইনিংসের ১১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে শ্রীলংকার স্পিনার ধনাঞ্জয়াকে বাউন্ডারি মেরে দেড়শতে পা রাখেন শান্ত।
তাই মোমিনুলের সেঞ্চুরি ও শান্তর দেড়শর উপর ভর করে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটিও দারুন কাটে বাংলাদেশের। ২ উইকেটে ৩৭৮ রান নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। শান্ত ১৫৫ ও মোমিনুল ১০৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বিরতি থেকে ফিরে নিজেদের ইনিংস বড় করছিলেন শান্ত ও মোমিনুল। কিন্তু দলীয় ৩৯৪ রানে ভাঙ্গে এই জুটি। শ্রীলংকার পেসার লাহিরু কুমারার বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন শান্ত।
৩৭৮ বল খেলে ১৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৬৩ রান করেন শান্ত। তৃতীয় উইকেটে শান্ত-মোমিনুল রেকর্ড ২৪২ রান যোগ করেন। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগের রেকর্ডটি ছিলো ২৩৬ রানের। ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে সেটি করেছিলেন মোমিনুল ও মুশফিকুর রহিম। আজ শান্তকে নিয়ে সেই রেকর্ড ভেঙ্গে ফেললেন মোমিনুল।
শান্তর আউটের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি মোমিনুল। ব্যক্তিগত ১২৭ রানে থামেন তিনি। ৩০৪ বল খেলে ১১টি চারে নিজের ইনিংস সাজান মোমিনুল।
৪২৪ রানে মোমিনুলের বিদায়ে ক্রিজে জুটি বাঁধেন মুশফিকুর রহিম ও উইকেটরক্ষক লিটন দাস। দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা। দলের স্কোর আরও বড় করার পরিকল্পনায় ছিলেন মুশফিক-লিটন। ৯১ বলে জুটিতে ৫০ রান তুলেন তারা। কিন্তু ১৫৫তম ওভারের পর আলো স্বল্পতায় বন্ধ হয় খেলা। পরবর্তীতে শেষ সেশনে আর মাঠে গড়ায়নি ব্যাট-বলের লড়াই।
দিন শেষে মুশফিক ৪৩ ও লিটন ২৫ রানে অপরাজিত আছেন। শ্রীলংকার বিশ্ব ফার্নান্দো ২টি, কুমারা-ধনাঞ্জয়া ১টি করে উইকেট নেন।
স্কোর বোর্ড:(টস-বাংলাদেশ)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস:
(আগের দিন ৩০২/২, ৯০ ওভার, শান্ত ১২৬*, মোমিনুল ৬৪*) :
তামিম ইকবাল ক থিরিমান্নে ব ফার্নান্দো ৯০
সাইফ হাসান এলবিডব্লু ব ফার্নান্দো ০
নাজমুল হোসেন শান্ত ক এন্ড ব কুমারা ১৬৩
মোমিনুল হক ক থিরিমান্নে ব ডি সিলভা ১২৭
মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ৪৩
লিটন দাস অপরাজিত ২৫
অতিরিক্ত (বা-৫, লে বা-৬, নো-৫, ও-১০) ২৬
মোট (১৫৫ ওভার, ৪ উইকেট) ৪৭৪
উইকেট পতন : ১/৮ (সাইফ), ২/১৫২ (তামিম), ৩/৩৯৪ (শান্ত), ৪/৪২৪ (মোমিনুল)।
শ্রীলংকা বোলিং :
সুরাঙ্গা লাকমল : ৩১-১২-৭৪-০ (নো-৩),
বিশ্ব ফার্নান্দো : ২৮-৮-৭৫-২,
লাহিরু কুমারা : ২৮-৪-৮৮-১ (ও-৪),
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ : ৭-১-১৪-০,
ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা : ২৭-১-১১২-১ (নো-২),
হাসারাঙ্গা ডি সিলভা : ৩৩-২-৯৪-০,
দিমুথ করুনারতেœ : ১-০-৬-০।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

শেরপুরে সানশাইন আলু চাষে কৃষকের মুখে হাসি

ভন্ডদের পক্ষে বিবৃতিদাতারাও ভন্ডদের পর্যায়েই পড়ে : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী