ভিতরে

করোনায় চট্টগ্রামে আরো ৮ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন ৩৪৭ জনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ২২ দশমিক ৩০ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৩৪৭ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৬৩ জন ও ১৩ উপজেলার ৮৪ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ২১ জন, রাউজানে ১২ জন, ফটিকছড়িতে ১০ জন, পটিয়ায় ৯ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৭ জন, বোয়ালখালীতে ৬ জন, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ায় ৪ জন করে, মিরসরাই ও সীতাকু-ে ৩ জন করে, বাঁশখালী ও চন্দনাইশে ২ জন করে এবং সন্দ্বীপে ১ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৪৭ হাজার ৫৭৪ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৮ হাজার ১৮৮ জন ও গ্রামের ৯ হাজার ৩৮৬ জন।
গতকাল গ্রামের ১ জনসহ করোনায় ৮ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা এখন ৪৭২ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৩৫০ জন ও গ্রামের ১২২ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৭৩ জন। ফলে মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪৫৬ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৮৩৬ জন ও বাসা থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩০ হাজার ৬২০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩৫ জন ও ছাড়পত্র নেন ২০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৭৯ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে গতকালের ৮ জনসহ চলতি মাসের ১৯ দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮৩ জনে। দৈনিক গড় ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ মাসে ২ এপ্রিল ও ১৪ এপ্রিল কোনো করোনা রোগি মারা যায়নি । করোনাকালের সর্বোচ্চ ৯ রোগীর মৃত্যু হয় চলতি মাসের ১০ তারিখে। তবে এদিন এ মাসের সর্বনি¤œ ২২৮ জনের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ১২ দশমিক ২১ শতাংশ। জেলার সর্বোচ্চ ৫৪১ জন আক্রান্তও শনাক্ত হয় ১১ এপ্রিল। এদিন ৭ রোগীর মৃত্যু হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৪২৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৯ জনসহ ৬১ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৮৪ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ১৩ জনসহ ৫০ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নগরের ১৯ জন ও গ্রামের ৩৯ জন জীবাণুবাহক বলে চিহ্নিত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৭১টি নমুনার মধ্যে নগরের ১২টি ও গ্রামের ১১টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৫০টি নমুনায় গ্রামের ২টিসহ ৩১টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ২৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ৬টিসহ ৬৬টিতে, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৬৬টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ১টিসহ ৩২টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৬২টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ৩টিসহ ২৬টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ১ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় এটির ফলাফল নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ, চমেকে ২৭ দশমিক ১৭, চবি’তে ২৫, সিভাসু’তে ১৯ দশমিক ৩০, আরটিআরএলে ৬২ শতাংশ, শেভরনে ২৪ দশমিক ৭২, ইম্পেরিয়ালে ১৯ দশমিক ২৮, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪১ দশমিক ৯৩ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

হেফাজতের প্রতি দুর্বলতা দেখানোর সুযোগ নেই : নানক

বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত একই সূত্রে গাঁথা : ১৪ দল