ভিতরে

চট্টগ্রামে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ৪১৭

করোনাভাইরাসে চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪১৭ জন সংক্রমিত ও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণ হার ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ২ হাজার ৬৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ৪১৭ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩০৬ জন ও বারো উপজেলার ১১১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ১৮ জন, রাউজানে ১৭ জন, রাঙ্গুনিয়া ও সীতাকু-ে ১৩ জন করে, আনোয়ারায় ১২ জন, বাঁশখালীতে ১১ জন, ফটিকছড়িতে ১০ জন, মিরসরাইয়ে ৬ জন, বোয়ালখালীতে ৫ জন, পটিয়ায় ৩ জন, সন্দ্বীপে ২ জন এবং লোহাগাড়ায় ১ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৪৫ হাজার ৭০৮ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৬ হাজার ৬৫১ জন ও গ্রামের ৯ হাজার ৫৭ জন।
গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২ রোগীর মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৪৩৭ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৩২১ জন ও গ্রামের ১১৬ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৫১ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৯৫২ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৭৬২ জন এবং ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩০ হাজার ১৯০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩৫ জন ও ছাড়পত্র নেন ৩০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৫৯ জন।
উল্লেখ্য, গতকালের ২ জনসহ চলতি মাসের প্রথম ১৩ দিনে ৪৮ জন মৃত্যুবরণ করেন। করোনাভাইরাসে জেলায় এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ ৯ জন মারা যান ১০ এপ্রিল। এছাড়া, করোনাকালের সর্বোচ্চ ৫৪১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয় ১১ এপ্রিল। এদিন ৭ রোগীরও মৃত্যু হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখানে ১ হাজার ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ১৫ জনসহ ৬৬ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩৫৩ জনের নমুনার মধ্যে ৮ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। এরা সকলেই শহরের বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৪১ জন ও গ্রামের ৬০ জন জীবাণুবাহক বলে চিহ্নিত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৪৫টি নমুনায় গ্রামের ১২টিসহ ৬২টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ২১টি নমুনার ১১টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। আক্রান্তরা সবাই শহরের বাসিন্দা।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৪৩৪, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২১২ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৫৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শেভরনে গ্রামের ৯টিসহ ৬৫টি, ইম্পেরিয়ালে গ্রামের ৫টিসহ ৬৮টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে শহরের ২৬টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
চট্টগ্রামের ৮৬ জনের নমুনা এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় গ্রামের ১০ জন পজিটিভ বলে শনাক্ত হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে, বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ, চমেকে ২ দশমিক ২৬, চবিতে ৪১ দশমিক ২২, সিভাসু’তে ২৫ দশমিক ৩০, আরটিআরএলে ৫২ দশমিক ৩৮ শতাংশ, শেভরনে ১৪ দশমিক ৯৭, ইম্পেরিয়ালে ৩২ দশমিক ০৭, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৭ দশমিক ২৭ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১১ দশমিক ৬৩ শতাংশ সংক্রমণ হার পাওয়া যায়।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

নাইজারে স্কুলে অগ্নিকান্ডে ২০ শিশু নিহত

করোনার বিরুদ্ধে সচেতনতার দুর্গ গড়ে তুলতে হবে : সেতুমন্ত্রী