ভিতরে

নড়াইলে গমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

চলতি মৌসুমে নড়াইলের ৩ উপজেলায় গমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।এ পর্যন্ত জেলার ৩ উপজেলায় চাষকৃত ৯৫ শতাংশ জমির গম কাটা হয়েছে।বাকি জমির গম কাটা আগামী দু থেকে তিন দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানালেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিপু মজুমদার। এ বছর গমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৩ উপজেলায় ২হাজার ৮৫ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৫শ’৬ মেট্রিক টন। গমের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরাও প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও আগ্রহ সহকারে গমের চাষ করেছেন।গত বছর থেকে এ বছর ৩শ’১৯ হেক্টর বেশি জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। গম চাষে তেমন কোন খরচ নেই।সামান্য সেচের প্রয়োজন হয়।এ কারণে অনেক চাষি প্রতি বছর গম চাষে মনোযোগী হচ্ছেন-এমনটাই বলেছেন কৃষি কর্মকর্তারা। লাভজনক হওয়ায় অনেক প্রান্তিক ও বর্গাচাষি অর্থকরী এ ফসল চাষে দিন দিন ঝুঁকে পড়ছেন বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে আরো জানা গেছে, চলতি মৌসুমে নড়াইলের ৩ উপজেলায় মোট ২ হাজার ৮৫ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে নড়াইল সদর উপজেলায় গমের আবাদ হয়েছে ১হাজার ৮০হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩হাজার ৮শ’৮৮ মেট্রিক টন।লোহাগড়া উপজেলায় গমের আবাদ হয়েছে ৬শ’ ১৫হেক্টর জমিতে।উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২হাজার ২শ’ ১৪ মেট্রিক টন এবং কালিয়া উপজেলায় গমের আবাদ হয়েছে ৩শ’৯০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১হাজার ৪শ’ ৪ মেট্রিক টন। আবাদকৃত জমিতে উচ্চফলনশীল বারি গম-৩০, ৩২ ও ৩৩ জাতের গমের চাষ বেশি হয়েছে। এছাড়া বারি গম-২৫,২৬,২৭,২৮ ও প্রদীপ জাতের গমের চাষ হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় জানান, গমের ভালো ফলনের লক্ষ্যে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে গম চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ,পরামর্শ,মাঠ দিবস,উঠান বৈঠক,নতুন নতুন জাতের বীজ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।গম চাষে অন্য ফসলের তুলনায় খরচ কম। গমে পোকার আক্রমণ হয় না বললেই চলে।ফলনও বেশি। বাজারে গমের চাহিদা ব্যাপক থাকায় এ জেলায় গমের চাষ দিন দিন বাড়ছে বলে তিনি জানান।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ পালিত

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট করোনায় আক্রান্ত