ভিতরে

গ্রামীণ উন্নয়নে নতুন উদ্যোগ এনআরবিসি ব্যাংকের

ব্যাংকিং কার্যক্রমের ৮ বছর পার করে ৯ম বছরে পা দিয়েছে চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক। ‘এনআরবিসি ব্যাংকের স্বপ্ন ৯ম বছরের উন্নয়নে হব অংশীদার মাটি ও মানুষের’ শ্লোগানে ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে ব্যাংকটি।
গ্রামের উন্নয়নে সর্বপ্রথম উপশাখা ব্যাংকিং শুরু করে ব্যাংকটি। আবার জনগণের মালিকানা নিশ্চিত করতে সমসাময়িকদের তুলনায় সবার আগে পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হয়ে লেনদেন শুরু করেছে তারা। ব্যাংকটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, গ্রামীণ উন্নয়নে রাষ্ট্রীয় নীতিকে মূলনীতি ধরে ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক ও সেবার প্রসার ঘটানো হচ্ছে। স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আগামী এক বছরে এনবিআরবিসির মূল লক্ষ্য হচ্ছে পিছিয়ে পড়া মানুষের প্রয়োজন মেটাতে তাদের পাশে হাজির হওয়া।
২০১৩ সালের ২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে প্রবাসীদের মালিকানাধীন এনআরবিসি ব্যাংক। বাণিজ্যিক কার্যক্রম শৃুরু হয় ওই বছরের ১৮ এপ্রিল। পথচলার এই আট বছরে ব্যাংকটি সারাদেশে ৮৩টি শাখা খুলেছে, যার অর্ধেক গ্রামে। আর মানুষের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই ব্যাংকটি নিয়ে আসে উপশাখা ব্যাংকিংয়ের ধারণা।
এনআরবিসি ব্যাংক সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ৪২৩টি উপশাখা খুলেছে। খোলা হয়েছে ৫৮৯টি এজেন্ট ব্যাংকিং বুথ। এসবের অধিকাংশই গ্রাম এলাকায়। এখন গ্রামের উন্নয়নের নেওয়া হয়েছে নতুন এক উদ্যোগ। এই উদ্যোগের লক্ষ্য গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। গ্রামের মানুষদেরকে স্বল্প সুদে পুঁজির যোগান দেওয়া।
সর্বশেষ হিসেবে ২০২১ সালের মার্চ শেষে ব্যাংকটির সংগৃহীত আমানতের পরিমাণ ৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঋণ হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। আট বছরের পথচলায় ব্যাংকটির সেবাগ্রহীতার সংখ্যা এখন ৬ লাখেরও বেশি। এর বাইরে প্রতিদিন সারাদেশের ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিস ও বিআরটিএ অফিসে স্থাপিত উপশাখা ও বুথ থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ সেবা নিচ্ছেন।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, এই ব্যাংকের সকল উদ্যোক্তা প্রবাসী। আমাদের মূল লক্ষ্য দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য কিছু করা। সেটি করতে সফল হয়েছি। তবে কোভিড মহামারি আমাদের সফলতা কিছুটা ব্যাহত করেছে। এর মধ্যে এনআরবিসি ব্যাংকে ৩টি রেকর্ড হয়েছে। এ তিনটি হচ্ছে, ব্যাংকটি কোভিড মহামারি সত্ত্বেও শতভাগ ব্যাংকিং সেবা ও বাড়তি চিকিৎসা সেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে পেরেছে। আর সংকটের বছরে তারা পুঁিজবাজারে নিবন্ধিত হয়েছে। একযুগ পর প্রথম কোন ব্যাংক বাজারে লেনদেনে অন্তর্ভূক্ত হল। চেয়ারম্যান বলেন, গ্রামাঞ্চলে উপশাখা খোলার ক্ষেত্রে সকল ব্যাংকের তুলনায় আমরা শীর্ষে। নতুন বছরে আমাদের স্বপ্ন গ্রামের মানুষের পুঁজির যোগান দেওয়া বলে তিনি জানান।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

বিজিএমইএ নির্বাচন আগামীকাল

কোইকার ৩০তম বার্ষিকী উদযাপন