ভিতরে

চাঁদপুরে সাথী ফসল চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক

 চাঁদপুর সদর উপজেলা, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর, হাইমচরসহ অন্যান্য উপজেলায় একই জমিতে একই সাথে বেশ কয়েক রকমের সাথী ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা। সরকারি কৃষি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় এ এলাকার কৃষকরা বেশ কয়েক বছর ধরে এ পদ্ধতি ব্যবহার করে বছরে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।
কৃষকেরা বিশাল এলাকা জুড়ে একই জমিতে বছরে তিন বা ততোধিক ফসল চাষ করে ব্যাপক সফলতা লাভ করেছেন।
চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের পাশে চাঁদপুর সদর উপজেলার কুমারডুগী, ঘোষেরহাট, মহামায়া, চাঁদখার বাজার এলাকা, কৃষ্ণপুর, কেতুয়া, আলুমুড়া এলাকার কৃষকরা এখন এ জাতীয় ফসল উৎপাদনে ব্যস্ত রয়েছেন। এখন এ পদ্ধতির অনুকরণ করছেন জেলার অন্য কৃষকরাও।
এ সব এলাকায় জমিতে কৃষকরা আলু, মরিচ, আখ, বা আলু, ভুট্টা, আলু, করলা, আখ, বা ভাঙ্গি, ডেরস ইত্যাদি সাথী ফসল চাষ করছেন।
সম্প্রতি এসব এলাকায় গিয়ে দেখাগেছে সবুজের সমারোহ। মাঠগুলোতে চোখ পড়লে দেখা যায় সবজি আর সবজির আবাদ। কৃষকরাও অনেক আগ্রহ নিয়ে কৃষি উৎপাদন করছেন। অনেক সময় লোকসান হয়, তারপরেও কৃষি কাজের প্রতি ভালোবাসায় তারা পিছু হটেননি। তবে সাথী ফসল করে অনেকেই এখন লাভজনক অবস্থায় আছেন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নে সেকদি গ্রামে গিয়ে দেখাগেছে, একই জমিত একাধিক ফসল। এ বছর আবহাওয়া অনুক’লে থাকার কারণে কোন ফসলেরই ক্ষতি হয়নি। যার কারণে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। বিশেষ করে আলুর দাম ভাল পেয়েছেন কৃষকরা। ওই জমিতে অনেকে ভুট্টা, মরিচ, করলা ডেরসসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করেছেন।
কৃষক মফিজুর রহমান জানান, তিনি গত কয়েক বছর ধরে এমন সাথী ফসলের চাষ করে খুব লাভবান হচ্ছেন। একই খরচে তিনি অন্য ফসলগুলো উৎপাদন করতে পারছেন। এতে করে রাসায়নিক সার এর খরচ কমে যায় কারণ তিনি আলু চাষের জন্য জমিতে যে পরিমাণ সার ব্যবহার করেছেন তাতেই মরিচ এবং আখের উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট বলে জানান তিনি।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: জালাল উদ্দীন জানান, কৃষকরা তাদের একটু উচু জমিতে একসাথে দুই তিনটি ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন, কারণ এতে তাদের খরচ কমে যায়। আমরা তাদেরকে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে সাথী ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি, এখন অনেক কৃষক ই সাথী ফসল চাষে ঝুঁকছে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসে কাল শুরু নারী ফুটবল

কানাডার ভ্যাংকুভারে লাইব্রেরিতে ছুিরকাঘাতে ৬ হতাহত