ভিতরে

শহীদ ডা. লে. কর্নেল এনএ এম জাহাঙ্গীরের ৫০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী মঙ্গলবার

শহীদ ডা. লে. কর্নেল এন এ এম জাহাঙ্গীরের ৫০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আগামী ৩০ মার্চ।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকিস্তানী বাহিনী কর্নেল জাহাঙ্গীরসহ বেশ কয়েকজন (৪৮ জন) সেনা কর্মকর্তা ও জওয়ানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘটনার সময় তিনি কুমিল্ল¬া সেনানিবাসে ৪০ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন।
এ উপলক্ষে শহীদের শেষ কর্মস্থল কুমিল্ল¬া সেনানিবাসের ৩১ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
দিনব্যাপী এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহীদ পরিবারবর্গের স্মৃতিচারণ এবং দোয়া মহফিল।
এছাড়া, আগামী ২ এপ্রিল শুক্রবার বাদ জুম’আ মরহুমের পৈতৃক বাড়ি রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলার থানা মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। একই সাথে এতিম ও দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে কর্নেল জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল কোর ইউনিটটি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। এরপর পাকিস্তান সামরিক বাহিনী কর্নেল জাহাঙ্গীরসহ অসংখ্য বাঙ্গালি অফিসার ও জওয়ানকে বন্দী এবং নির্মমভাবে হত্যা করে।
১৯৭২ সালে দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর একটি গণকবর থেকে কর্নেল জাহাঙ্গীরের মরদেহ উদ্ধার এবং পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় কুমিল্ল¬া সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল প্রাঙ্গণে দাফন করা হয়।
শহীদের স্মৃতিরক্ষার্থে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদের আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও সুহৃদদের দোয়া মাহফিলে শরীক হয়ে তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কর্নেল জাহাঙ্গীর ১৯৫২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্র থাকাকালে মহান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। পরের বছর তিনি সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে যোগ দেন এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ক্লিনিকাল প্যাথলজির উপর উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

রূপকল্প ২০৪১ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ : হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় ইরফান সেলিমের জামিন স্থগিত