ভিতরে

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২ এপ্রিল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ২ এপ্রিলই দেশে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা পরিস্থিতি এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা না নিলে জাতীর এই মেধাবি মুখগুলোর ভবিষ্যত শিক্ষাজীবনে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। এসব বিবেচনায় রেখে ২ এপ্রিলই দেশে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে গ্রহণ করা হবে।’
জাহিদ মালেক আজ বুধবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অংশিজনদের সাথে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ভর্তি পরীক্ষাটি স্বচ্ছতা ও স্বাস্থ্যবিধি ঠিক রাখতে সরকারের পুলিশ বাহিনী, গোয়েন্দা শাখা, শিক্ষা বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকল শাখা মিলে টিম-ওয়ার্ক ও কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমে কাজ করবে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে ও কেন্দ্রের আশেপাশে এলাকার স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখবে।’
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার আগে সামাজিক মাধ্যমগুলিতে যেন কোনো গুজব ছড়াতে না পাওে সে ব্যাপারেও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিশেষ শাখাগুলি কাজ করবে। আশা করা যায়, যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখেই এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘেœই অনুষ্ঠিত হবে।’
করোনা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে দেশবাসিকে আরো সতর্কভাবে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে চলাফেরা করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গতমাসে সংক্রমনের হার ছিল মাত্র ২ শতাংশ। সেটি মঙ্গলবার হয়ে গেছে ১৩ শতাংশ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে করোনা বেড সংখ্যা আবারো বৃদ্ধি করা হচ্ছে। নতুন করে আরো অন্তত ৫টি হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেটেডে হাসপাতাল করা হয়েছে। তবে, দেশের মানুষ যদি মুখে মাস্ক না পড়েন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলেন তাহলে করোনা পরিস্থিতি ভবিষ্যতে সামলানো মুশকিল হতে পারে।
গতবারের তুলনায় এবছর পরীক্ষার্থ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, “গত বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৭২ হাজার। আর এবছর ভর্তি পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন। পাশাপাশি এ বছর করোনার কারণে সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র সংখ্যা ১৯টি এবং ভেন্যু সংখ্যা ৫৫টি করা হয়েছে। একই সাথে কেন্দ্রের ভেতরে পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের ও কেন্দ্রর বাইরে অপেক্ষামান অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে ফটোকপি মেশিনের দোকান বন্ধ রাখা, কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখাসহ অন্যান্য তৎপরতার দিকেও নজর দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর-এর সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, পুলিশ বাহিনী প্রতিনিধি, সরকারের গোয়ান্দা শাখার প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য শাখার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

রাত ৮টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধের আহ্বান ডিএসসিসি মেয়রের

আগামীকাল ভয়াল ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস