ভিতরে

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশ-ভূটান নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে ঐকমত্য

বাংলাদেশ এবং ভূটান দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে ঐকমত্য।
আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভূটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিংয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিকে লাভজনক করে তুলতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে জাহাজগুলো যাতে সহজে নোঙ্গর করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন।
বৈঠকে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থে বিশেষ করে বাণিজ্য ও যোগাযোগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দু’নেতা জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে এক সাথে কাজ করতে সম্মত হন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের সহযোগিতায় দ্বিপক্ষীয় এবং ত্রিপাক্ষিক জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সমঝোতা স্মারক তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
ভূটানের প্রধানমন্ত্রী সেদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য মাল্টিপল এট্রিসহ পূর্ণ মেয়াদী ভিসা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।
জবাবে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিশেষ করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে ভূটানের প্রতি সহযোগিতা জোরদার করা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ভূটানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত একেএম শহিদুল করিম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে ভূটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টিসিল এবং চীফ অব প্রটোকল দাসো ইউগেন গঙ্গোপেল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ ৪৫ মিনিট একান্তে বৈঠক করেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

‘অপারেশান সার্চ লাইট’ জাহান্নামের দরোজা খুলে দিয়েছিল: পাক মেজর

অগ্নিকান্ডের পেছনে কারও দুরভিসন্ধি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী