ভিতরে

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে চায় বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যে ওয়ানডে সিরিজ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। তাই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে চায় টাইগাররা। সেই সাথে জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করার লক্ষ্য টাইগারদের। আগামী শুক্রবার ওয়েলিংটনে সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায়। সরাসরি দেখা যাবে বাংলাদেশ টেলিভিশন, গাজী টিভি ও টি-স্পোটর্স চ্যানেলে।
প্রথম ওয়ানডে ৮ উইকেটে ও দ্বিতীয়টি ৫ উইকেটে জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এখনো জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।
দুই ওয়ানডে হেরে যাওয়ায় নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের হারের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮-এ (১৫টি ওয়ানডে, ৯টি টেস্ট ও ৪টি টি-টুয়েন্টি)।
অতীতের রেকর্ড হতাশাজনক হলেও, ওয়ানডে ক্রিকেটে দারুন পারফরমেন্সের কারনেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পা রাখে বাংলাদেশ। কিন্তু সেখানে এখনো ম্যাচ জিততে পারেনি টাইগাররা।
প্রথম ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৩১ রানে অলআউট হয়ে ৮ উইকেটে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে খোলস থেকে বের হয়ে দলকে ৬ উইকেটে ২৭১ রানের বড় স্কোর এনে দেয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। বড় পুঁজি পেয়ে জ্বলে উঠেছিলো বোলাররাও। ম্যাচের এক পর্যায়ে ১১ ওভারে ৫৩ রানের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের ৩ উইকেট তুলে নেয় বোলাররা। কিন্তু বাজে ফিল্ডিং ও ক্যাচ মিসের কারনে হাত থেকে ম্যাচটি ফসকে যায় বাংলাদেশের।
দ্বিতীয় ওয়ানডে হারলেও, প্রথমবারের মত নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদেরকে হারানোর জন্য আত্মবিশ্বাস ঠিকই পেয়েছে বাংলাদেশ।
সিরিজ নির্ধারন হয়ে যাওয়ায় তৃতীয় ম্যাচটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। কিন্তু সিরিজটি আইসিসি সুপার লিগের অংশ হওয়ায়, ম্যাচটি গুরুত্ব বহন করছে। ভারতের অনুষ্ঠেয় ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে আইসিসি সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে ভালো অবস্থায় থাকতে হবে দলগুলোকে। তাই পয়েন্টের হিসেবে তৃতীয় ওয়ানডেটির গুরুত্ব অনেক বেশি।
জয় দিয়ে শুধুমাত্র হোয়াইটওয়াশ এড়িয়ে যাওয়াই নয়, সাথে ১০ পয়েন্টও সংগ্রহ করতে পারবে বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে পাওয়া ১০ পয়েন্ট, ২০২৩ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার পথে সহায়তা করবে বাংলাদেশকে।
তবে ১০ পয়েন্ট বা হোয়াইটওয়াশ নিয়ে ভাবছে না বাংলাদেশ। তাদের লক্ষ্য, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম জয় তুলে নেয়া।
বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানিয়েছেন, উন্নতি নিয়ে কথা না বলে শুধুমাত্র জয়ের দিকেই মনোযোগি হতে চান তারা।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে উন্নতি করতে আসিনি। এখানে জিততে এসেছি।’
দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন তামিম ইকবাল। তার সাথে ব্যাট হাতে উজ্জল ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুনও। ৫৭ বলে অপরাজিত ৭৩ রান করেন তিনি।
তামিমের সাথে সুর মিলিয়ে মিঠুন বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এখানে একটি ম্যাচ জিততে চাই। আমরা যদি একটি ম্যাচ জিততে পারি, তবে সেটিই আমাদের জন্য বড় সাফল্য হবে। এখনও একটি ওয়ানডে আছে এবং আমরা আমাদের সেরাটাই দিব। আমি মনে করি, আমরা এখনও একটি খেলা জিততে পারি।’
যদিও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কখনোই জয় পায়নি বাংলাদেশ। তবে পরিসংখ্যান বলছে, ওয়ানডে ক্রিকেটে কিউইদের বিপক্ষে বলার মত সাফল্য রয়েছে টাইগারদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডাবল-ফিগারের জয় রয়েছে বাংলাদেশের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৭ ম্যাচে ১০টি জয় রয়েছে টাইগারদের।
১০টি জয়ের সবক’টি দেশের মাটিতে বা নিরপেক্ষ ভেনু্যুতে। লড়াই হয়েছে ২২ বার। এর অর্থ, নিউজিল্যান্ডের বাইরে, কিউইদের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

টটেনহ্যামের ধার শেষে রিয়ালে ফেরার আশা করছেন বেল

গাজায় হামাসের বিভিন্ন অবস্থানে ইসরাইলের বিমান হামলা