ভিতরে

সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা প্রদানসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সক্ষম হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা প্রদানসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও পানি দূষণ কমাতে সক্ষম হবে।
‘পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তা যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ সংস্থাসমূহ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ‘বিশ্ব পানি দিবস’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে আরো বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পানি দিবস ২০২১’ পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। বিশ্ব পানি দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ভ্যালুয়িং ওয়াটার’ প্রাসঙ্গিক, অর্থবহ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পরিণত করার লক্ষ্যে আমাদের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। টেকসই ও দ্রুত উন্নয়নের জন্য আমাদের এখনই পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য পরিবেশ ও পরিবর্তনের সাথে ভারসাম্য রক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন।”
তিনি বলেন,‘ নদীমাতৃক বাংলাদেশে পানি এবং টেকসই উন্নয়ন একে-অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পানি ছাড়া যেমন আমাদের জীবন অচল, তেমনি জলবায়ু ও প্রকৃতি- যা আমাদের জীবন ও জীবিকার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত তার স্বাভাবিক প্রবাহের জন্যও পানি অপরিহার্য।’
প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, এ দিবসটি পালনের মাধ্যমে আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়নে জনগণের মধ্যে প্রকৃতি, পানি ও জলবায়ু বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবেন।
তিনি ‘বিশ্ব পানি দিবস ২০২১’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ভূমি সেবা ডিজিটালাইজেশনে অবদান রাখায় ভূমিমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ

দেশীয় শিল্প বিকাশে সহযোগিতা করবে সরকার : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী