ভিতরে

বাংলাদেশে যা কিছু হচ্ছে, তার ভিত্তি রচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে যা কিছু হচ্ছে, তার সব কিছুই ভিত্তি রচনা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু।
তিনি বলেন, ‘এক কথায় বলতে গেলে আজ বদলে যাওয়া বাংলাদেশে যা কিছু হচ্ছে, তাঁর সুযোগ্য কণ্যা শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে তার সব কিছুই ভিত্তি রচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্্যাপন উপলক্ষ্যে আজ রোববার থিমভিত্তিক আলোচনায় অংশ নিয়ে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার পঞ্চম দিনের অনুষ্ঠানের থিম ছিল ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’।
আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান ও সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্্মুদ। এছাড়াও থিমভিত্তিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। আলোচনা পর্বে জর্ডানের বাদশার পক্ষে উপপ্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন দেশের স্বকৃতির পাশাপাশি বন্ধু তৈরিতে মনোনিবেশ করেছিলেন সারা দুনিয়ায়। অবকাঠামো উন্নয়নে এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের নিলেন নব নব উদ্যোগ। রপ্তানী বাড়িয়ে বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দিলেন মনোযোগ। তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি কৃষিখাতকে দিলেন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। দায়িত্ব গ্রহণের পর চৌদ্দ মাসের মাথায় একটি জাতীয় নির্বাচন উপহার দিয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়নের এমন কোন ক্ষেত্র ছিলনা যেখানে বঙ্গবন্ধুর হাতের ছোঁয়া লাগেনি। এক কথায় বলতে গেলে আজ বদলে যাওয়া বাংলাদেশে যা কিছু হচ্ছে, তাঁর সুযোগ্য কণ্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার সব কিছুই ভিত্তি রচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আসুন আমরা বঙ্গবন্ধু জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি, শিক্ষা গ্রহন করি তাঁর সততা, সাহসিকতা ও মানুষকে ভালোবাসার যে রাজনীতি সে রাজনীতি। বাংলাদেশে সততা, সাহস ও মেধায় বঙ্গবন্ধু পরিবারের জুড়ি নেই। যে শিক্ষা বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন, সেই শিক্ষা অনুসরণ করে দেশকে স্বপ্নের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর কণ্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা’র হাতকে করি শক্তিশালী, লক্ষ্য অর্জনে হই নিবেদিতপ্রাণ।
তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন করার পর শুরু হয় দু:খি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে জাতির পিতার নতুন সংগ্রাম। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ পূণর্গঠনের কাজ। স্বাধীতার এক বছরের মধ্যেই প্রণয়ন করলেন মুক্তিকামি মানুষের আশা-আকাঙ্খার ভিত্তিতে একটি সংবিধান। দেশের এ প্রান্ত থেকে ও-প্রান্তে ছুটে চললেন বাংলার মানচিত্রের অমর চিত্রকর। দুচোখে তাঁর সোনার বাংলার স্বপ্ন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে বন্ধু রাষ্ট্র চীনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যের ওপর টাইটেল এ্যানিমেশন ভিডিও, ক্যানভাসে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর : শুন্য থেকে মহাশুন্যে (কাব্য, সুর ও ছন্দে কোরিওগ্রাফি), বঙ্গবন্ধুর নবজীবনের ডাক : ধূসর বাংলা থেকে সবুজ বাংলা (পালা, জারি ও গম্ভীরা পরিবেশনা), বিশ^নেতা ও বিশ^নাগরিকের সাথে মেলবন্ধন- (মিউজিক কোরিওগ্রাফি), নারী জাগরণ ও নারীর ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধু- (থিয়েট্রিক্যাল কোরিওগ্রাফি), শিশু বিকাশে বঙ্গবন্ধু : আলো আমার আলো- (১০০ জন শিশু শিল্পীর পরিবেশনা), শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে নবজাগরণ : শিল্পের সকল বাহনের উৎকর্ষ সাধন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নাটক : ২৮৮ দিন এবং আন্তর্জাতিক সংগীত ধারার সাথে সমন্বয় রেখে ব্যান্ড সংগীতের জাগরণ পরিবেশনা করা হয়।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে গবেষক-বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসার আহবান কৃষিমন্ত্রীর

নাগরিক সেবা পেলে জনগণ অবশ্যই কর পরিশোধ করবে : এলজিআরডি মন্ত্রী