ভিতরে

২৬০ রানের বেশি থাকলে, লড়াই করা যেত : তাসকিন

আজ ডানেডিন সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে লজ্জার হারের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। তবে স্কোর বোর্ডে ২৬০ রানের বেশি রান থাকতো, তবে বোলাররা লড়াই করতে পারতেন বলেন জানান বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ। বড় স্কোর না হওয়ায় হতাশা ঝড়েছে তাসকিনের কন্ঠে।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ৪১ দশমিক ৫ ওভারে ১৩১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ১৩২ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে মোটেও বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিকদের। ২১ দশমিক ২ ওভারেই টার্গেট স্পর্শ করে ফেলে নিউজিল্যান্ড।
তবে তাসকিনের মতে, ম্যাচের চিত্র অন্যরকম হতে পারতো, যদি ব্যাটসম্যানরা স্কোর বোর্ডে ২৬০ রানের বেশি যোগ করতে পারতেন।
ডানেডিন থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পাঠানো রেকর্ড করা ভিডিও বার্তায় তাসকিন বলেন, ‘আমরা স্কোর বোর্ডে ২৬০ থেকে ২৭০ রান করতে পারলে, গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভাল ব্যাট করতে পারি না। আমরা মাত্র ১৩১ স্কোর করতে পেরেছি এবং এই ধরনের দলের বিপক্ষে এমন স্কোর নিয়ে কখনোই লড়াই করা যায় না। ২৬০ থেকে ২৭০ রান থাকলে আমরা বোলাররা লড়াই করার জন্য আক্রমণাত্মক হতে পারতাম।’
বোর্ডে সীমিত সংগ্রহ থাকার পরও, নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে নিজের সেরাটা দিয়েছেন তাসকিন। গতি এবং বাউন্স দিয়ে কিউই ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেরার চেষ্টাও করেছেন তিনি। চার ওভার বল করে ২৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
আজকের হারে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ জয়হীনই থাকলো। এখনো তিন ফরম্যাটে ২৭ ম্যাচের (১৪টি ওয়ানডে, ৯টি টেস্ট ও ৪টি টি-টুয়েন্টি) সবক’টিতে হেরেছে টাইগাররা।
এ ম্যাচের আগে বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছিলেন, জয়ের বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে চান এবং বোলারদের দলের ট্রাম্পকার্ড হিসেবে মনে করেন তারা।
তাসকিন বলেন, ‘আমাদের বোলারদের ভালো প্রস্তুতি ছিলো। এখানে কোয়ারেন্টাইন চলাকালীন, আমরা আমাদের ফিটনেস সম্পর্কে সচেতন ছিলাম এবং নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে ভালো করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলাম।’
সফরে এখনো বাংলাদেশের হাতে পাঁচটি ম্যাচ রয়েছে। ২টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টুয়েন্টি। সিরিজের বাকী ম্যাচগুলোতে ভালো করার জন্য মুখিয়ে আছেন তাসকিন। প্রথম ওয়ানডের দুঃস্মৃতি ভুলে যেতে চান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা ঘুড়ে দাঁড়ানোর ব্যাপারে এখনো আশাবাদি। সিরিজে আমাদের এখনো দু’টি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ রয়েছে। বিশেষভাবে নিউজিল্যান্ডে আমরা ভালো করতে পারি না। তবে আশা করি, পরের ম্যাচে আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারবো।’
বাংলাদেশের শেষ দু’ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ২৩ ও ২৬ মার্চ।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ব্যাটিং পারফরমেন্সে হতাশ তামিম

ডিআর কঙ্গোতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত