ভিতরে

শ্রীলংকার সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে বাংলাদেশের আগ্রহ

বাংলাদেশ-শ্রীলংকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যদি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে আরো সময়ের প্রয়োজন হয়, তাহলে দু’দেেেশর মধ্যে শুরুতে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি করার বিষয়ে আমারা তাদের বলেছি।’
বাংলাদেশ -শ্রীলংকার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর আজ ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমীতে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আবদুল মোমেন এ কথা জানান।
আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের এ বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর শ্রীলংকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সফররত সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
ড. মোমেন বলেন, বৈঠকে আমরা অর্থবহ আলোচনা করেছি। এ সময় দুই শীর্ষ নেতা দুদেশের মধ্যে অপার বাণিজ্য সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে উভয় পক্ষ দু’দেশের মধ্যে জাহাজ চলাচলরে ওপর গুরুত্বারোপ করে চট্টগ্রাম – কল¤ো^া বন্দরের মধ্যে জাহাজ চলাচলে চুক্তি করতে একমত হয়। এছাড়াও দু’দেশে বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বিনিয়োগ সম্পর্কিত চুক্তি, দ্বেত কর পরিহার ও শুল্ক বিষয়ে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে একমত প্রকাশ করা হয়।
ড. মোমেন জানান বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো সংহত করতে ফরেন অফিস কনসালটেশনস, বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠক ও বিভিন্ন জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ সহ বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোসমূহের অধিকতর সক্রিয়করণের বিষয়ে এবং বিস্তৃত পরিসরে সহযোগিতার বলয় সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে জয়েন্ট কমিশন অব কম্প্রিহেনসিভ কো-অপারেশ প্রতিষ্ঠায় দুই নেতা সম্মত হন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সাথে শ্রীলংকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে রোহিঙ্গা সমস্য সমাধানে কলম্বোর সক্রিয় সমর্থন কামনা করা হয় বৈঠকে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ামারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করার পর শ্রীলংকার পক্ষ থেকে এ সমস্য সমাধানে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়।
তিনি বলেন, বৈঠকে উভয় পক্ষ ফার্মাসিউটিক্যালস, তথ্য প্রযুক্তি, নৌনিরাপত্তা,এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ আরো বিভিন্ন খাতে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে একমত পোষন করে ।
বৈঠকে বাংলাদেশ শ্রীলংকার জনগণকে ধান উৎপাদ, জলবায়ু অভিযোজন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশিদের সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ ও নাসিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ সহযোগিতা প্রদান করতে শ্রীলংকার প্রতি অনুরোধ করা হয়।
উভয় পক্ষই আন্তর্জাতিক অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাতিসংঘে একে অপরকে সহযোগিতা প্রদানে একমত প্রকাশ করে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণের লক্ষ্যে উন্নয়নের অভিযাত্রায় বাংলাদেশকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড- ১৯ এর পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ সফর করায় শ্রীলংকান প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রেসব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর রাজাপাকসের গুরুত্বারোপ

ঢাকা-কলম্বো দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে সম্মত