ভিতরে

বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন আপোসহীন নেতা : তোফায়েল আহমেদ

আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন আপোসহীন নেতা। তিনি একাধিকবার ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন। তবু আপোস করেননি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষির্কী উপলক্ষে বুধবার ভোলা বাংলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বাঙালি জাতিকে একত্রিত করেছিলেন এবং ঘুমন্ত জাতিকে জাগ্রত করেছেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন বিচক্ষণ নেতা, পৃথিবীতে তার মত নেতা বিরল। ৭ মার্চের ভাষণ আজকে বিশ্বে ইউনেস্কো কর্তৃক অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যা বিশ্বাস করতেন তাই করতেন এবং সেই বিশ্বাসের সাথে তিনি কখনো আপোস করেননি। যেই সরকার পাকিস্তানের ক্ষমতায় এসেছিল, তারাই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে।
প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একাত্তরে পাকিস্তানের কারাগারে যখন বন্দি, তখন তাকে ফাঁসি দেয়ার জন্য কবরের পাশে দাঁড় করানো হয়েছিল। তখন তিনি বলেছিলেন কবরকে আমি ভয় পাই না। আমি জানি তোমরা আমাকে ফাঁসি দেবে। আমি এও জানি বাংলার দামাল ছেলেরা হাসিমুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারে। সেই বাঙালি জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। শুধু বলেছিলেন আমাকে ফাঁসি দেয়ার পরে এই কবরে নয়, আমার লাশটা বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দিও।
তিনি বলেন, আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনা করে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন এবং নিজেও মর্যাদাশালী হয়েছেন। যারা একদিন তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বলতো বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি, আজকের তারাই বলছেন বিস্ময়কর উত্থান বাংলাদেশের।
তোফায়েল বলেন, বঙ্গন্ধুর কন্যা আওয়ামীলীগের পতাকা হাতে নিয়ে নিষ্ঠার ও দক্ষতার সাথে দেশকে উন্নয়নের চরম শিখরে নিয়ে গেছেন। সেই দিন বেশি দূরে নয়, যে দিন বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করে ক্ষুদা ও দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।
ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এডভোকেট জুলফিকুর আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেন, ভোলা পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, এনামুল হক আরজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস, মইনুল হোসেন বিপ্লব, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আলী নেওয়াজ পলাশ।
সভার শুরুর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দলীয় নেতাকর্মীরা পুস্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সভা শেষে শহরে একটি বর্নাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।
এদিকে, নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বুধবার দিন ব্যাপী ভোলা জেলায় স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কর্মসূচী শুরু হয়। সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুরালে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, ভোলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন দপ্তর ও সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

ভারতে বাংলাদেশ মিশনে বঙ্গবন্ধু’র জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন

জাপান ও ক্যানবেরায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন