ভিতরে

টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে মে’তে শুরু হবে ডিপিএল

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ৫০ ওভারের পরিবর্তে আগামী ৬ মে টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে শুরু হবে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। আজ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ (সিসিডিএম) ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ জানান, দুই দফায় অনুষ্ঠিত হবে লিগটি।
প্রথমত, ৬-১০ মে পর্যন্ত চলবে লিগের প্রথম অংশ এবং ঈদুল ফিতরের ছুটি ও শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য এটি ২৫ দিন বন্ধ থাকবে। শ্রীলংকা চলে যাবার পর, লিগের পরবর্তী অংশ হবে ৩১ মে থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত।
আজ সভা শেষে ইনাম আহমেদ বলেন, ‘ডিপিএলের অংশগ্রহণকারী ১২ ক্লাবের সাথে বৈঠকের পর আগামী ৬ মে লিগ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই। আপাতত, আমরা দু’টি উইন্ডো পেয়েছি এবং সেই সময়ের মধ্যে লিগটি শেষ করতে হবে। লিগটি টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে করতে আমরা সকলেই একমত পোষন করেছি।’
গেল বছর করোনার প্রার্দুভাবের কারনে এক রাউন্ড পরই স্থগিত হয়ে যায় ডিপিএল। ইনাম জানান, যেই একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো, সেটি পরিত্যক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।
তিনি বলেন, ‘গেল বছর হওয়া একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। আমরা নতুন করে আবারো লিগ শুরু করবো।’
গেল বছর যারা যেই ক্লাবে খেলেছে, সেই ক্লাবেই থাকবে। কারন বেশিরভাগ ক্লাবই খেলোয়াড়দের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ টাকা পরিশোধ করেছে বলে জানান ইনাম।
তিনি বলেন, ‘ক্লাবগুলো সেই খেলোয়াড়দের পাবে, যাদের তারা গত বছর দলে নিয়েছিলো। যেহেতু বেশিরভাগ ক্লাবগুলো ইতোমধ্যে ৩০-৪০ শতাংশ পরিমাণ অর্থ খেলোয়াড়দের প্রদান করেছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নতুন কোনও দলবদল হবে না। এটি নতুন লিগ হবে, যেখানে ডিপিএলের সুপার লিগ এবং রেলিগেশন লিগ আমরা ব্যবহার করবো।’
ডিপিএলের একটি মৌসুম পরিত্যক্ত হওয়ায় খেলোয়াড়দের মধ্যে হতাশা ছিল। সিসিডিএম চেয়ারম্যান জানান, তারা খেলোয়াড়দের আর্থিক বিষয় বিবেচনা করে লিগটি আয়োজন করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের আগ্রহ বিবেচনা করে লিগ আয়োজন করছি। খেলোয়াড়রা আমাদের বলেছিল-তারা লিগ খেলতে চায় এবং পারিশ্রমিক কমে গেলেও তারা লিগ খেলবে।’
ইনাম আরও বলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের স্বার্থ বিবেচনা করতে হবে, একই সাথে আমাদের ক্লাবগুলির স্বার্থও বিবেচনা করা উচিত। যারা কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে আর্থিকভাবে সমস্যায় পড়েছে। স্পনসররা ইতিবাচক সাড়া দিবে কি-না তা নিয়ে আমরা সন্দেহ করছি। এই সকল বিষয় বিবেচনা করে, আমরা বোর্ড সভাপতির সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো (আর্থিক ক্ষেত্রে) আমরা কতটা সমন্বয় সক্ষম হবো।’

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

এপ্রিলে বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল

জয়ের সেঞ্চুরিতে শেষ ম্যাচেও আয়ারল্যান্ডকে হারালো বাংলাদেশ