ভিতরে

পূর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত চেয়েছে যুবলীগ


সম্মেলন হওয়া জেলা ও মহানগর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত চেয়েছে যুবলীগ। বুধবার (১০ মার্চ) সংগঠনটির দফতর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নতুন কমিটি গঠন বা বিলুপ্ত করা যাবে না- গত ২০ ডিসেম্বর দেওয়া এমন নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে প্রথমে ওয়ার্ড শাখা, পরে পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন, পৌরসভা, থানা ও উপজেলা শাখা কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করতে হবে। যেসব জেলা ও মহানগর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা প্রয়োজন সেসব প্রস্তাবিত কমিটির নেতাদের জীবনবৃত্তান্ত বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার নেতা নির্বাচনে উচ্চ শিক্ষিতদের খোঁজ করছেন আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। বিতর্কমুক্ত কমিটি দিতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, ক্লিন ইমেজের উচ্চ শিক্ষিতদের প্রাধান্য দিচ্ছেন শীর্ষ নেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘ চার বছরের বেশি সময় ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আওয়ামী যুবলীগের কমিটি। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে আটকের পর বহিষ্কার ও অব্যাহতি দেওয়া হয় প্রথম সারির অন্তত পাঁচ নেতাকে। তারপর থেকেই ভারপ্রাপ্ত দিয়েই চলছে মহানগর দক্ষিণ শাখা যুবলীগ। দক্ষিণ শাখা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত নেতারাও বিতর্কমুক্ত নন।

দক্ষিণ শাখার বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে আটক হওয়া মহানগর দক্ষিণ শাখার নেতাদের অনুসারীরা আবারও সক্রিয় হয়েছেন পদ-পদবি পেতে। অন্যদিকে দক্ষিণ শাখা যুবলীগে শীর্ষ দুই পদের একটি পেতে পুরনো সিন্ডিকেট নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বিদেশ ফেরত এক নেতা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা যুবলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। তবে কমিটি গঠন বা সম্মেলন বিষয়ে অনেকটাই ধোঁয়াশায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। মহানগর দক্ষিণ শাখা যুবলীগে স্থান পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন পদপ্রত্যাশীরাও।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতা বলেন, দক্ষিণ শাখা যুবলীগের সাংগঠনিক কাঠামো একেবারেই ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। কমিটি কীভাবে হবে সে বিষয়ে কিছুই জানা যাচ্ছে না। সম্মেলনের আয়োজন করা হবে কি না তা এখনো জানা যায়নি। কেউ কেউ বলছেন প্রেস কমিটি হবে। কিন্তু কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্র থেকে পদপ্রত্যাশীদের কাছে জীবনবৃত্তান্ত চাওয়া হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে পুরনো সিন্ডিকেটের হাতেই মহানগর দক্ষিণ শাখা যুবলীগের নেতৃত্ব চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাতে গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিপণিবিতানের সামনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। যুবলীগ দক্ষিণের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ সিদ্দিকী তারেক ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হন। পরে দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ শীর্ষ নেতাদের বহিষ্কারের পর ভেঙে পড়ে সাংগঠনিক কাঠামো। দক্ষিণ শাখা যুবলীগের হাল ধরতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা এগিয়ে এলেও হালে পানি পাচ্ছেন না সম্মেলন না হওয়ায়।

ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল ছিলেন উত্তর শাখার সভাপতি। তিনি কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর সহ-সভাপতি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বর্তমান কমিটির নেতা ছাড়াও অর্ধশতাধিক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শীর্ষ দুই পদে আসীন হতে দৌড়ঝাঁপ করছেন। সংগঠনের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আমরা নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। নেত্রী যখন বলবেন তখনই আমরা মহানগর সম্মেলন করব। নেতৃত্বের সম্মতি ছাড়া সম্মেলন হবে না।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী’র মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

নাগরিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়েই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে : এলজিআরডিমন্ত্রী