ভিতরে

নাগরিক প্রতিষ্ঠানকে নিয়েই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে : এলজিআরডিমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সরকারের পাশাপাশি সকল নাগরিক এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত প্রয়াসেই দেশকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এ জন্য সকল জন-প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার কোন বিকল্প নেই।
মো. তাজুল ইসলাম আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং অক্সফামের উদ্যোগে আয়োজিত গণতান্ত্রিক সুশাসনের জনসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের অংশ গ্রহণে গণতান্ত্রিক শাসন ও স্থানীয় উন্নয়নে তৃণমূল প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা শীর্ষক এক নাগরিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, দেশকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে নিতে হলে সাধারণ মানুষসহ ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি-কর্পোরেশনসহ অন্যান্য জন-প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার কোন বিকল্প নেই।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ এবং নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের মূল লক্ষ্য।
তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু দায়িত্ব গ্রহণের সময় দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিলো ৮৪ ডলার। তিনি মাত্র তিন বছরে মধ্যে মাথাপিছু আয় ৮৪ ডলার থেকে ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দীর্ঘ ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা দেশের মাথাপিছু আয় ৩২৯ ডলারে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকায় তাঁর বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার জন্য মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার একশ’ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে হলে মাথাপিছু আয় দরকার হবে সাড়ে ১২ হাজার ডলার উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সারা বিশ্বের মধ্যে এখন একটি সম্ভাবনাময় দেশে পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক সূচকসহ অন্যান্য সূচকে এই অঞ্চলে উদীয়মান রাষ্ট্র হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী প্রণীত পথ-নকশা অনুযায়ী উন্নয়নে মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যেও সভাপতিত্বে সম্মেলনে সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, বাংলাদেশের যুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ডক্টর দীপঙ্কর দত্ত এবং সিপিডির প্রধান গবেষক অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন।
এছাড়াও সারা দেশ থেকে আগত বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা নাগরিক সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট
উত্তর দিন

মন্তব্য করুন

পূর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত চেয়েছে যুবলীগ

ইজিবাইক দ্রুত নিবন্ধনের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন : ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী