ভিতরে

‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ বিশ্বের বৃহৎ চিত্রকর্ম হিসেবে স্থান পেতে যাচ্ছে গ্রিনেস বুকে

‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ নামে বিশাল এক ক্যানভাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ১০০ বিঘা ধান ক্ষেতে। শস্যচিত্রে এটি হতে যাচ্ছে বিশে^র সর্ববৃহৎ চিত্রকর্ম।
আর মাত্র ক’দিন পরেই উপজেলার বালেন্দা গ্রামের শস্যক্ষেত্রের এই বিশাল ক্যানভাসটি গ্রিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে স্থান পাতে যাচ্ছে বলে জানালেন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও গিনেস ওয়ার্ল্ডের প্রতিনিধি কৃষিবিদ ড. কামাল উদ্দিন ও কৃষিবিদ ড. এমদাদুল হক। গ্রিনেস ওয়ার্ল্ডের প্রতিনিধি দ্বয় বলেন, এর আগে বৃটেন, জাপান, ভারত ও চীনের রেকর্ড ভঙ্গ করে বাংলাদেশের এই চিত্রকর্ম বিশ্বে প্রথম স্থান করে নেবে। তারা এর সকল শর্ত পূরণ হয়েছে বলে মনে করেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় পরিষদের উদ্যোগে এবং বেসরকারি কোম্পানি ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের সহযোগিতায় ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ নামে বিশাল আয়তনের এই প্রতিকৃতি তৈরী করা হয়েছে।
শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু শিল্পকর্মের আয়তন ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। শস্যচিত্রের দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার এবং প্রস্থ ৩০০ মিটার। যা বিশে^র সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র। সর্বশেষ বিগত ২০১৯ সালে চীনে তৈরী শস্যচিত্রটির আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট। শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি তৈরি করার জন্য দুই ধরনের ধান বেছে নেয়া হয় গাঢ় বেগুণী ও সোনালী রঙ। চীন থেকে এই ধানের জাতটি আমদানি করা হয়েছে। প্রতিদিন শতাধিক শ্রমিক পরিচর্যার কাজ করছে। এর আগে প্রায় ১৫০ জন শ্রমিক এই চারা রোপণ কাজ করেছেন। ইতিমধ্যেই ১০০ বিঘা জমিতে রোপনকৃত ধানের চারায় ফুটে উঠেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবয়ব।
মাঠে দুই ধরণের ধানের চারা রোপণের মাধ্যমে নিখুঁতভাবে আঁকা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। যা আরও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক নিরলসভাবে কাজ করছেন। কেউ আগাছা পরিস্কারে ব্যস্ত আবার কেউ ব্যস্ত সেচ দেয়ার কাজে। ইতিমধ্যে শস্যচিত্রে ভেসে উঠেছে জাতির পিতার অবয়ব। তবে খালি চোখে শস্যচিত্রটির পূর্ণাঙ্গ রুপ দেখা সম্ভব না হলেও ১০০ বিঘা জমিতে রোপনকৃত ধানের দৃশ্য ড্রোনে ধরা পড়ছে জাতির পিতার শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। বিশে^র সর্ববৃহৎ এই শস্যচিত্রটি দেখতে স্থানীয়দের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা অনেকেই ভিড় করছেন ।
গত ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ও উচ্চ ফলনশীল দুই ধরণের ধানের চারা রোপনের মাধ্যমে এই কর্মযজ্ঞের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। শস্যচিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের আহ্বাযক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এতে সভাপত্বি করেন।
গত সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের আহ্বাযক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এই চিত্রকর্মটি দেশের ১৭ কোটি মানুষকে জাগ্রত করে তুলবে। ইতোমধ্যে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ চিত্রকর্মটি প্রতিদিনই রঙ বদলাচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এটি পূর্ণতা পাবে। এর শস্য কেটে নিলেও থেকে যাবে চিত্রকর্মেও চিহ্ন। জাতির জনকের জন্মশতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতেই কৃষিবিদ ও প্রকৌশলীদের যৌথ পরিকল্পনায় কৃষি ও কৃষকের বঙ্গবন্ধুর বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রতিকৃতি তৈরীর এই কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে বলেও মন্তব্য করেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

বাংলাদেশ রেলওয়েতে মার্কিন বিনিয়োগের আহ্বান রেলমন্ত্রীর

বাংলাদেশ সফররত ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘কুলিশ’ ও ‘সুমেধার’ মোংলা বন্দর ত্যাগ