বিটা সংস্কৃতি ও উন্নয়ন কেন্দ্র যেন একখন্ড ছোট্ট শান্তি নিকেতন : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

বিটা সংস্কৃতি ও উন্নয়ন কেন্দ্রকে একখন্ড ছোট্ট শান্তি নিকেতনের সাথে তুলনা করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
তিনি বলেন, ‘বিটা সংস্কৃতি ও উন্নয়ন কেন্দ্র যেন একখন্ড ছোট্ট শান্তিনিকেতন। শান্তি নিকেতনে যেভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশে গাছের নিচে পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষা দান করা হয়, একইভাবে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব থিয়েটার আর্টস (বিটা) সংস্কৃতি ও উন্নয়ন কেন্দ্রে মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে খোলা আকাশের নিচে নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা ও সংস্কৃতির পাঠদান করা হয়। বিটা’র একাডেমিক, প্রশাসনিক ও প্রশিক্ষণ ভবনসমূহকে শান্তিনিকেতনের আদলে সাজানো-গোছানো ও পরিপাটি করে গড়ে তোলা হয়েছে। সবমিলিয়ে মনে হয় এ যেন একখন্ড ছোট্ট শান্তি নিকেতন।’
প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে চট্টগ্রামের পটিয়ার মেহেরআঁটিতে বিটা (বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব থিয়েটার আর্টস) সংস্কৃতি ও উন্নয়ন কেন্দ্র আয়োজিত বিটা সংস্কৃতি ও উন্নয়ন কেন্দ্রে নবনির্মিত আন্তর্জাতিক ভবন এবং শ্যাম-শেফালী মুক্তমঞ্চ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, পটিয়ার মাটি প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, শ্যামসুন্দর বৈষ্ণব, শেফালী ঘোষের মত অনেক বিশুদ্ধ মানুষের জন্ম দিয়েছে। সূর্যসেন, ক্ষুদিরাম বসু, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার প্রমুখ স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবীদের আত্মদানে বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলন ত্বরান্বিত হয়েছে বটে কিন্তু তাঁদের কেউ পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা এনে দিতে পারেননি। একমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
বিটা’র সভাপতি কমল সেনগুপ্ত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান, পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিটা’র নির্বাহী পরিচালক শিশির দত্ত।
পরে প্রতিমন্ত্রী এম এ আজিজ স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে জাতীয় পিঠা উৎসব মঞ্চে জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রামের আয়োজনে পাঁচদিনব্যাপী চট্টগ্রাম পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন এবং অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায় আয়োজিত ‘৪৫ বছর পেরিয়ে’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।