ভিতরে

ইউরোর স্বাগতিক হিসেবে গ্ল্যাসগো, ডাবলিন নিয়ে শঙ্কা

চলতি বছর গ্রীষ্মকালীণ ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের স্বাগতিক দেশের তালিকা থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়েছে গ্ল্যাসগো ও ডাবলিন।
করোনার কারনে এক বছর পিছিয়ে আগামী জুন-জুলাইয়ে ইউরো ২০২০’র আয়োজন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। কিন্তু তার আগে আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা ও সমর্থকদের প্রবেশের অনুমতির বিষয়ে স্বাগতিক শহরগুলোকে জানাতে বলেছে। আয়োজকরা অবশ্য এখনো আশাবাদী প্রথমবারের মত ইউরোপের ১২টি শহরেই ইউরো আয়োজিত হবে।
কিন্তু স্কটিশ ও আইরিশ সরকার এখনো জুনের মধ্যে সমর্থকদের ফেরানোর বিষয়ে কোন আশ^াস দিতে পারেনি। আর এভাবে যদি শঙ্কা বাড়তেই থাকে তবে গ্ল্যাসগো ও ডাবলিন থেকে হয়তবা গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো অন্যত্র সড়িয়ে নেয়া হতে পারে। এমন ইঙ্গিতই দিয়েছে উয়েফা। গ্ল্যাসগোর হ্যাম্পডেন পার্ক ও ডাবলিনের আভিভা স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের চারটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রমতে জানা গেছে ডাবলিন ও গ্ল্যাসগোতে সমর্থকদের স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতির বিষয়টি প্রায় বাতিল হবার পক্ষেই মত এসেছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দুটি দেশের সরকার কোভিড পরিস্থিতি বেশ খানিকটা শক্তভাবেই পরিচালনা করছে।
বুধবার স্কটিশ স্বাস্থ্য সচিব জিনি ফ্রিম্যান বলেছিলেন, ইউরোর অংশ হওয়াটা তার দেশের জন্য এই মুহূর্তে অবশ্যই অনেক বড় একটি বিষয়। তবে সমর্থকদের উপস্থিতির বিষয়টি সম্পূর্ণই জনগনের উপর নির্ভর করছে, তারা কতটা সুষ্ঠভাবে আইন মেনে চলছে, ভ্যাক্সিন নিতে কতটা আগ্রহ দেখাচ্ছে- সবকিছুই এখানে নির্ভরশীল।’
স্কটিশ সরকার বলেছে, ‘কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা আয়োজক ১২টি শহরই উয়েফার সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছে। স্বাগতিক শহরগুলো পুরো পরিস্থিতি বিবেচনা করেই এপ্রিলের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে আগামী কয়েকটি দিন বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং স্কটিশ সরকার পুরো বিষয়টি বেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন করছে। বিশেষ করে ২৩ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত পুরষ ফুটবলের অন্যতম বড় কোন আসর আয়োজনে দেশটি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
গত সপ্তাহে আইরিশ ফুটবল এসোসিয়েশন জানিয়েছিল তারা এখনো দর্শকদের ব্যপারে আশাবাদী। আইরিশ সরকারের পক্ষ থেকে অন্তত আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সমর্থকদের ব্যপারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এদিকে বৃটিশ সরকার ঘোষনা দিয়েছেন মধ্য মে থেকে ইংল্যান্ডের স্টেডিয়ামগুলোতে ১০ হাজার দর্শক প্রবেশের
অনুমতি মিলবে, ২১ জুন থেকে যা সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে বৃটিশ সরকার বরিস জনসন বলেছেন ওয়েম্বলীতে যে সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে উয়েফা চাইলে তার থেকেও বেশী ম্যাচ এখানে আয়োজন সম্ভব।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

লিপজিগ-লিভারপুলের ম্যাচটি বুদাপেস্টে সরিয়ে নেয়া হয়েছে

মিয়ামি ওপেনে খেলা নিশ্চিত করলেন জকোভিচ