ভিতরে

প্রিমিয়ার লিগ : সাউদাম্পটনকে পরাজিত করে শীর্ষ চারের লড়াইয়ে টিকে থাকলো এভারটন

রিচার্লিসনের একমাত্র গোলে সোমবার সাউদাম্পটনকে পরাজিত করে প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ চারে টিকে থাকার লড়াইয়ে নিজেদের চ্যালেঞ্জ ধরে রেখেছে এভারটন।
গুডিসন পার্কে কার্লো আনচেলত্তির দল ছয়টি হোম ম্যাচ পরে প্রথম জয় পেল। বড়দিনের ঠিক আগে আর্সেনালের বিপক্ষে সর্বশেষ এই মাঠে সাফল্য পেয়েছিল এভারটন। ম্যাচের ৯ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান রিচার্লিসনের গোলে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। এই জয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা ওয়েস্ট হ্যামের থেকে মাত্র দুই পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলো আনচেলত্তির শিষ্যরা। যদিও সপ্তম স্থানে থাকা টফিসরা ওয়েস্ট হ্যামের থেকে এক ম্যাচ কম খেলেছে। ঠিক তার আগের স্থানগুলোতে থাকা লিভারপুল ও চেলসিও এভারটনের থেকে এক ম্যাচ বেশী খেলেছে।
আগের ম্যাচেই এ্যানফিল্ডে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকে ২-০ গোলে পরাজিত করে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই ছিল এভারটন। ১৯৯৯ সালের পর এটাই লিভারপুলের মাঠে তাদের প্রথম জয়। আর এই জয়ে শীর্ষ চারে থেকে লিগ শেষ করার মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নিজেদের জায়গা করে নেবার লড়াইয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছে টফিসরা।
ম্যাচ শেষে এভারটন বস আনচেলত্তি বলেছেন, ‘সত্যিকার অর্থেই দারুন একটি সপ্তাহ কাটালাম। দলীয় সমঝোতা নিয়ে আমি দারুন সন্তুষ্ট। রক্ষনভাগের উপর জোড় দিয়ে আক্রমনভাগকে সাজিয়েছিলাম। প্রতিটি ম্যাচে একটি দল হিসেবে পারফর্ম করেছি এবং এই জয়গুলো আমাদের প্রাপ্য ছিল। ইউরোপীয়ান লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে আমাদের ঘরের মাঠে আরো উন্নতি করতে হবে। এই পারফরমেন্স আমাদের সহযোগিতা করবে। মৌসুমের শেষে শীর্ষ চারে থাকাটা আমাদের অনেকদিনের স্বপ্ন। আমরা এখন তার বেশ কাছেই পৌঁছে গেছি।’
এদিকে ১৯৮৮ সালের নভেম্বরের পর প্রথমবারের মত প্রিমিয়ার লিগের শুরুটা ভাল হলেও হঠাৎ করেই সাউদাম্পটন ছন্দ হারিয়ে ফেলে। টানা বেশ কয়েকটি ম্যাচে জয়বিহীন থাকার পর বর্তমানে দলটি রেলিগেশন জোন থেকে মাত্র সাত পয়েন্ট উপরে রয়েছে। শেষ নয়টি লিগ ম্যাচে তারা জয় পায়নি। ডিসেম্বরে লিভারপুলের বিপক্ষে জয়ের পর আট ম্যাচে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে। সেইন্ট বস রালফ হ্যানেসহাটেল বলেছেন, ‘লিগে টিকে থাকার জন্য ৩০ পয়েন্ট মোটেই যথেষ্ট নয়। আমাদের আরো বেশী পয়েন্টের প্রয়োজন।’
হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি কাটিয়ে ডিসেম্বরের পর কাল প্রথমবারের মত মূল একাদশে খেলতে নেমেছিলেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার এ্যালান। তাকে পেয়ে এভারটন যেন বাড়তি উদ্দীপনা ফিরে পেয়েছিল। সাউদাম্পটন গোলরক্ষক ফ্রেসার ফস্টার লিগে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছিলেন। হ্যাসেনহাটেল কাল নিয়মিত গোলরক্ষক এ্যালেক্স ম্যাককার্থিকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন। কিন্তু ৯ মিনিটে রিচার্লিসনকে রুখতে পারেননি ফ্রস্টার। জর্ডান পিকফোর্ডের লম্বা কিক থেকে ডোমিনিক কালভার্ট-লুইন হয়ে গিলফি সিগার্ডসন বল পেয়ে যান। এই মিডফিল্ডারের দারুন এক পাসেই ফ্রস্টারকে কাটিয়ে বল জালে জড়ান রিচার্লিসন। গত তিন ম্যাচে এটি তার তৃতীয় ও মৌসুমে ১১তম গোল। ২৫ মিনিটে মাইকেল কিন ব্যবধান দ্বিগুন করলেও ভিএআর অফসাইডের কারনে তা বাতিল করে দেয়।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

২০৩০ বিশ্বকাপের বিডে অংশ নিতে পারে যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড

আধুনিক যুগের অধিনায়ক কোহলি : স্টিভ ওয়াহ