ভিতরে

যাচাই ছাড়া অডিট রিপোর্ট না নিতে ব্যাংকগুলোকে এনবিআর চেয়ারম্যানের আহ্বান

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ত্রুটিপূর্ণ অডিট রিপোর্ট ঠেকাতে ডকুমেন্ট ভ্যারিফিকেশনের (ডিভিএস) আওতায় অডিট রিপোর্ট যাচাই করার জন্য ব্যাংকসমূহের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ডিভিএস ছাড়া কোন অডিট রিপোর্ট দিলে তা গ্রহণ করা হবে না। ব্যাংকগুলো যাতে এটি পরিপালন করে। নইলে তা বাতিল হয়ে যাবে। তিনি আমদানিতে মূল্য ঘোষণা ব্যবস্থার পরিবর্তে আগামীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য ঠিক করে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন। বলেন, আমরা মূল্য ঘোষণা বাতিলেরই চিন্তা করছি।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)’র সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফিকির সভাপতি রূপালী চৌধুরী বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে আরও উদার হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘কর হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশে কী ধরণের করহার রয়েছে তা বিবেচনায় নেওয়া দরকার। এফডিআই আকর্ষণে আমরা (ফিকি) গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারি। এজন্য এনবিআরের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিনিয়োগকারীরা দেখবে, অন্যান্য দেশ কী করছে। কী কী সুবিধা দিচ্ছে। এটি নিশ্চিত করা গেলে বিনিয়োগ আসবে।’
এ সময় তিনি রাজস্ব আয়কর ও ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বিষয়ে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানান। গত বাজেটে কোম্পানির পণ্য প্রসারের ব্যয়ের (প্রমোশনাল এক্সপেন্স) করমুক্ত সীমা মোট বিক্রয়মূল্যের দেড় শতাংশ বেঁধে দেওয়ায় হতাশার কথা জানান।
রূপালী চৌধুরী বলেন, এটি নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে অনেক আলোচনা হলেও কোন সমাধান হয়নি। এছাড়া অগ্রিম আয়কর বেশি হওয়া, ভ্যাট আইন বাস্তবায়নকালে অনেক পরিবর্তন হওয়া, আয় না হলেও কোম্পানির বার্ষিক বিক্রয়ের ওপর কর প্রদানের বাধ্যবাধকতাসহ বেশকিছু ইস্যু তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা আমাদের বলছেন, আয় না হলে কেন কর দেব? অন্যদিকে মূল্য ঘোষণা ব্যবস্থায় দাম বেশি হলে এনবিআর গ্রহণ করে কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দর কমে গেলে সেই দর কর্মকর্তারা গ্রহণ করতে না চাওয়া বিষয়েও নিজেদের অসন্তোষের কথা জানান ফিকির প্রতিনিধিরা। ফিকির সভাপতি বলেন, ‘যারা অনিয়ম করে, তাদের ধরেন। কিন্তু গুটিকয়েকের জন্য অন্যরা কেন ক্ষতির মুখে পড়বেন?’ আলোচনায় কর্পোরেট করহার কমানোর দাবিও জানানো হয়।
ফিকির সভাপতি বলেন, ভ্যাট আইন শুরুতে যেভাবে ছিলো, তা থেকে অনেক দূরে সরে এসেছে। আগাম মূল্য ঘোষণা ব্যবস্থা থাকবে না বলা হলেও ইনপুট কোইফিশিয়েন্ট (সহগ) দিয়ে এনবিআর সেদিকেই গিয়েছে। অনেক জায়গায় ভ্যাট না থাকলেও নতুন করে আরোপ হয়েছে। বেজার (রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা) জমি কেনায় ভ্যাট ছিলো না। এখন ১৫ শতাংশ দিতে বলা হচ্ছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর কিছু কৌশলও তুলে ধরা হয় ফিকির পক্ষ থেকে। এসময় স্ট্যান্টার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী নাসের এজাজ বিজয় নগদ লেনদেনকে নিরুসাহিত করতে ব্যাংকে একটি নির্দিষ্ট সীমার ওপরে নগদ জমায় কর আরোপ, সম্পদ করহার কমিয়ে আনা, ব্যাংক হিসাব খোলার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান বাধ্যতামূলক করা, রপ্তানিতে নগদ সহায়তার বিষয়ে বিকল্প চিন্তা করার পরামর্শ দেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

গালফ ফুড ফেয়ারে প্রাণ : বিশ্বে বাংলাদেশী বিস্কুট, নুডলস ও কনফেকশনারী পণ্যের চাহিদা বাড়ছে

প্রত্নস্থলগুলোকে সংরক্ষণপূর্বক পর্যটনবান্ধব করে গড়ে তোলা হচ্ছে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী