রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের দু’জন নিহত

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর থানার বেড়িবাঁধ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি আরোহী একই পরিবারের দু’জন (নানী-নাতনি) নিহত হয়েছে।
এছাড়া এ দুর্ঘটনায় আরও দু’জন গুরুতর আহত হয়েছে।
নিহতরা হলো, সালমা বেগম (৫৪) ও তার নাতনি রিনতা মনী (১১)।
আহতরা হচেছ, রিনতার মামা সোহেল রানা ওরফে সালেক হোসেন (২৪) ও বড় বোন এলিনা জাহান রিয়া (১৩)। আহতদের রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোর পৌনে ৬ টার দিকে মিরপুরের রূপনগর থানার বেড়িবাঁধ পাম্প এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রূপনগর থানার ডিউটি অফিসার এসআই সুমি আক্তার বাসসকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আজ ভোরে একটি সিএনজিতে করে আশুলিয়ায় জামগড়া এলাকায় বেড়াতে যাচ্ছিল একই পরিবারের চারজন। এসময় রূপনগর বেড়িবাঁধ পাম্প এলাকায় একটি ট্রাক যাত্রীবাহী সিএনজিটিকে ধাক্কা দিলে সিএনজিতে থাকা যাত্রী শিশু রিনতা মনী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার নানি সালমা বেগম মারা যান।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, খবর পেয়ে রূপনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে রিনতার মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদিকে সালমার মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আছে। চালক ট্রাক নিয়ে দ্রুত পালিয়ে গেছে। সেটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
রিনতার খালা শিউলি আক্তারের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, তাদের বাড়ি রংপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা গ্রামে। তিনি থাকেন আশুলিয়ায়। আর তার মা সালমা বেগম ও দুই বোন রিয়া ও রিনতা গ্রামে থাকেন। ২য় শ্রেণিতে পড়ত রিনতা। তিন দিন আগেই নানীর সঙ্গে দুই বোন আদাবর ১০ নম্বর বালুর মাঠে নানা আবুল হোসেনের বাসায় বেড়াতে আসেন। সেখান থেকে আজ ভোরে মামা সালেকের সিএনজিতে করে আশুলিয়া খালা শিউলির বাসায় যাচ্ছিল। যাবার পথে মিরপুরের রূপনগর থ্নাার বেড়িবাঁধ এলাকায় এ দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
তিনি আরও জানান, রিয়াকে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর সালেক সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। রিনতার মা দুলালি বেগম গত বছরের নভেম্বরে মারা যায়। তার বাবা এরশাদুল ইসলাম গ্রামে থাকেন। তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট রিনতা।