ভিতরে

ব্লকচেইন প্রযুক্তি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে : পলক

তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, ব্লকচেইন প্রযুক্তি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) উদ্যোগে আগামি ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিতব্য ‘ব্লকচেইন অলিম্পিয়ার্ড বাংলাদেশ-২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২৫-২৭ ফেব্রুয়ারি ব্লকচেইন অলিম্পিয়ার্ড অনুষ্ঠিত হয়ে চলবে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে ব্লকচেইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বর্তমান ও ভবিষ্যত কার্যকারিতার কথা ভেবেই ব্লকচেইনকে আমরা ‘ফাউন্ডেশন টেকনোলজি’ হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছি। এই ফাউন্ডেশনের উপর নির্ভর করেই বিভিন্ন সফটওয়্যার ও সলিউশন প্লাটফর্ম তৈরি করবো।
তিনি আরও বলেন, সেজন্য আইসিটি বিভাগ থেকেই একে ফাউন্ডেশন টেকনোলজি মনে করছি। দেশের তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে তাই ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের সুযোগ করে দিতে হবে।
পলক বলেন, এই টেকনোলজির মাধ্যমে সব বিষয়ে স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও জবাবদিহিতার বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে। ভূমি, স্বাস্থ্য, কৃষি, চাকরিসহ নানা বিষয় সংক্রান্ত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে সহজেই।
তিনি বলেন, যে কোন খাতে তথ্য সংগ্রহ করা, প্রেরণ করা, নিরাপদ করা এবং দ্রুততার সাথে তা কার্যকর করা এবং স্ব”চ্ছতা ও জবাবদিহিতার ব্লকচেইন টেকনোলজির সবক্ষেত্রে ব্যবহার করা জরুরি। তাতে চাইলেও যে কোন সেক্টরের ডেটা কেউ পরিবর্তন করতে না পারে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এক কোটি মানুষ প্রবাসে থাকে, রেমিটেন্স পাঠাতে তাদের অনেক টাকা খরচ হয়, এতে মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা সুযোগ নেয়। এক্ষেত্রে প্রবাসী ব্যক্তির সাথে নিরাপদ একটি সংযোগ ব্যবস্থা হতে পারে ব্লকচেইন এই টেকনোলজির মাধ্যমে।’
তিনি বলেন, দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে ইন্টারনেট অব থিংকস, রোবোটিকস এর মতো ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তি বিষয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে আইসিটি বিভাগ।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবের সভাপতিত্বে এতে ভার্চূয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তৃতা করেন ব্লকচেইন অলিম্পিয়ার্ডের আহবায়ক প্রফেসর কায়কোবাদ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ব্লকচেইন অলিম্পিয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর, হাবিবুল্লাহ নিয়ামুল করিম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অনুষ্ঠেয় ব্লকচেইন অলিম্পিয়ার্ড বাংলাদেশের দ্বিতীয় আসরে দেশের ৭০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৫৬ টি দল প্রকল্পসহ আবেদন করেছে। এরমধ্যে যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত পর্বে ৪০ টি দলকে মনোনীত করা হয়। এই প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাচিত ১২ টি শীর্ষদল আগামি জুলাই মাসে ইন্টারন্যাশনাল ব্লকচেইন অলিম্পিয়ার্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। এই ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়ার্ডের আয়োজনকারী দেশ বাংলাদেশ। এই অনুষ্ঠানে ব্লকচেইন বিষয়ক চারটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। দেশি, বিদেশি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞরা এতে যুক্ত থাকবেন।
এতে আরও বলা হয়, দেশে ব্লকচেইন অলিম্পিয়ার্ড প্রথম ভার্চূয়ালি অনুষ্ঠিত হয় ২০২০ সালে। এসময় মোট ৬২ টি প্রকল্প উপস্থাপিত হয়েছিল। এরমধ্যে ২০ টি প্রকল্প চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে। বিসিবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেনশন দেওয়ার জন্য ডিজিটাল সলিউশনে ব্লকচেইন প্রযুক্তির সফল ব্যবহার করেছে। এছাড়াও টেকনোহ্যাভেন কোম্পানী লিমিটেডসহ দেশীয় সফটওয়্যার কোম্পানি বৈদেশিক বাজারের জন্য ব্লকচেইন সলিউশন তৈরি করছে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

এ বছরেই বাস রুটের প্রথম পাইলটিং শেষ করার বিষয়ে আশাবাদী ডিএসসিসি মেয়র

দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ লাখ মানুষ করোনা টিকা নিয়েছেন