ভিতরে

সিঙ্গাপুর থেকে ৬৭.২০ লাখ ইউনিট এলএনজি আমদানি করবে সরকার

সুত্র ও ছবিঃ বাসস

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিজিপি) আজ দেশে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করতে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৬৭.২০ লাখ এমবিটিইউ (মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) এলএনজি আমদানির দু’টিসহ মোট পাঁচটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত চলতি বছরের সিসিজিপির ৭তম বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের অওতায় পেট্রোবাংলা সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৬ষ্ঠ এলএনজি কার্গোর অধীনে প্রায় ৩১০.৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৩.৬০ লাখ এমবিটিইউ এলএনজি সংগ্রহ করবে। ইউনিট প্রতি ব্যয় হবে প্রায় ৯.৩১২৩ মার্কিন ডলার।
সালেহ বলেন, ৭তম এলএনজি কার্গোর অধীনে পেট্রোবাংলা একই সিঙ্গাপুরীয় সংস্থা থেকে প্রায় ৩২২.৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো ৩৩.৬০০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি সংগ্রহ করবে। এক্ষত্রে প্রতি ইউনিট এলএনজির জন্য প্রায় ৯.৩৬১১ ডলার ব্যয় হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে এ পরিমাণ এলএনজি স্পট মার্কেট থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেনি, সরকার প্রায়ই দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে এলএনজি আমদানির সুবিধা নিতে পারে না। সেজন্য সরকার স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির চেষ্টা করছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এলএনজি সংগ্রহে সরকার জন্য বিভিন্ন উৎসের সাথে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি অক্ষুণœ রেখে দেশে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবার স্পট বাজার থেকে এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড বাংলাদেশে কালো তালিকাভুক্ত নয়। সরকার সাধারণত দেশের স্বার্থ বিবেচনায় রেখে যে কোনো সংগ্রহ করে থাকে।
তিনি বলেন, এই ক্রয়ের বিপরীতে কোনো অগ্রিম অর্থ প্রদান করা হয়নি।
অর্থমন্ত্রী আরো জানান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সিঙ্গাপুরের এই সংস্থাটি অন্য কোনো দেশে কালো তালিকাভুক্ত রয়েছে কিনা তা দেখতে বলা হবে এবং পরবর্তী সভায় এই বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে।
এদিকে, সিসিজিপি আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যার আওতায় মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশনস লিমিটেড র‌্যাব ফোর্সেস সদর দফতর নির্মাণ প্রকল্পের ডব্লিউডি ১ (বি) লটের অধীনে ১৯২.০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে র‌্যাব সদর দফতরে একটি ১২ তলা ব্যাচেলর অফিসার্স কোয়ার্টার, ১০ তলা ফোর্স ব্যারাক এবং ৮ তলা ডিএডি মেস কাম এমটি শেড নির্মাণ করবে।
এছাড়া, সভায় অনুমোদিত অন্য একটি প্রস্তাব অনুযায়ী বাংলা বিল্ডার্স লিমিটেড এবং এল জেআই যৌথ উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য নয়টি আবাসিক টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পের ডব্লিউডি- ৩(এ) লটের আওতায় প্রায় ৫৯.৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট জেলা পুলিশ লাইনে একটি ১৫ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ করবে।
সিসিজিপি বৈঠকে আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে যার আওতায় পদ্মা অ্যাসোসিযয়েটস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (পিএইএল) প্রায় ১৭৬.১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে আজিমপুর সরকারি কলোনির জোন-এ-তে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য দু’টি ২০ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ করবে।
সিসিজিপি বৈঠকের আগে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়াদি সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির একটি বৈঠক ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে এলজিইডি জরুরি রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে এলজিডি কর্তৃক প্রত্যক্ষ ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম)’র অধীনে বিভিন্ন পৌরসভার জন্য ২৫ টি হুইল এক্সকাভেটর কেনার প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে।
এছাড়া, খাদ্য মন্ত্রণালয় সভায় অবহিত করেছে যে, চলতি অর্থবছর (অর্থবছর ’২১) খাদ্যশস্যের সংশোধিত চাহিদা ২৪,৫৫,০০৭ মেট্রিক টন। যার মধ্যে ১৮, ৬৪, ৮২৯ মেট্রিক টন চাল এবং ৫, ৯০, ১৭৮ মেট্রিক টন গম রয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয় যে চলতি অর্থবছরে সরকারকে আরো ১৪,৪৯,৫২৯ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করতে হবে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

প্রত্যেক সিরিজে গোলাপি বলের টেস্ট চান গাঙ্গুলী

শ্রীলংকাকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরো বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর