ভিতরে

এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে বার্সেলোনাকে ধারাশায়ি করল পিএসজি

সুত্র ও ছবিঃ বাসস

কিলিয়ান এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক চ্ছিন্ন ভিন্ন করে দিল স্বাগতিক বার্সেলোনাকে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর প্রথম লেগে প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) কাছে ৪-১ গোলে পরাজিত হয়েছে কাতালান ক্লাবটি। এ্যাওয়ে ম্যাচের এই জয়ে আসরের কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এক পা এগিয়ে গেল প্যারিস জায়ান্টরা।
ইতোমধ্যে বিশ^ ফুটবলের উদীয়মান তারকা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করা এমবাপ্পে এদিন ক্যাম্প ন্যুতে একক দক্ষতাই বেশী প্রদর্শন করেছেন। যার মাধ্যমে হাই ভোল্টেজ ম্যাচকে একেবারেই একপেশে করে তুলেন তিনি।
২২ বছর বয়সি এই ফরাসির পারফর্মেন্সে ঢাকা পড়ে যায় বার্সেলোনা তারকা লিওনেল মেসির দক্ষতা। এমনকি আর্জেন্টাইন সুপার স্টার পেনাল্টি থেকে গোল করে স্প্যানিশ জায়ান্টদের এগিয়ে দেয়ার পরও কোন আশার আলো দেখা যায়নি বার্সেলোনা শিবিরে। শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত অসহায়ত্ব প্রকাশ পেয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টদের পারফর্মেন্সে।
দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যভাগে সইস কিনও আঘাত হানেন স্বাগতিক শিবিরে। ফ্রি কিক থেকে তিন গোল করলে প্রথম লেগে একেবারেই ভেসে যায় বার্সেলোনা। এই ঘটনা অবশ্য ২০১৭ সালের ইতিহাস মনে করিয়ে দিতে পারে বার্সেলোনার মানষ পটে। ওই আসরে প্যারিসের প্রথম লেগে পিএসজি ৪-০ গোলে এগিয়ে যাবার পরও ফিরতি লেগে তাদেরকে ৬-১ গোলে হারিয়ে দেয় কাতালান জায়ান্টরা। এবারো একই ঘটনা থেকে অনুপ্রেরনা পেতে পারে বার্সা। ওই ঘটনাটি আবার সতর্ক বার্তা হতে পারে পিএসজির।
তবে এই ঘটনার পর এমবাপ্পে হয়তো গোটা রাত হৈচৈ করেই কাটাবেন। কোচ মরিসিও পচেত্তিনো বলেন,‘ কিংবদন্তী ফুটবলাররা বড় ম্যাচের পর তাদের গল্প লিখে থাকেন। ম্যাচের আগে কোন সন্দেহই ছিলনা সেরা তারকারা আমাদের আছে। আর ম্যাচের পর তো কথাই নেই। ’
গেরার্ড পিকের ফিটনেস নিয়ে বলতে গেলে জুয়া খেলেছেন কোচ কোম্যান। হাঁটুর লিগামেন্ট ইনজুরির কারণে গত তিন মাস ধরেই মাঠের বাইরে কাটিয়েছেন তিনি। এটি তারুন্য নির্ভর দল নিয়ে ব্যতিক্রম এক অভিজ্ঞতা হলো কোম্যানের। কারণ এমন দল নিয়েই লা লিগায় সফলতার পথে এগুচ্ছিলেন তিনি।
বার্সা কোচ বলেন,‘ আমি এই হার মেনে নিয়ে কাজে নামতে যাচ্ছি। জয় পেলে আমিই হয়তো সবচেয়ে বেশী খুশি হতাম। আর আজকের এই ফলাফলে আমি যদি বলি এভাবে চালিয়ে যাবার কোন ইচ্ছা নেই, তাহলে সেটি হবে পাগলের প্রলাপের মত। আমি জানি আমাদের অবস্থান কোথায়। আমাদের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। আমরা এই পথের শেষ দিকে নই। এখনো মাঝপথে।’
এ দিকে শীর্ষ তারকা নেইমার ও এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে ছাড়াই এই জয়ের মাধ্যমে পিএসজি প্রমান করেছে তারা এখনো কতটা শক্তিশালী। শ^াসরুদ্ধকর প্রথমার্ধের লড়াই দিয়ে তারা সবাইকে মুগ্ধ করেছে।
দায়িত্ব গ্রহনের শুরুতেই একটি আস্থার জায়গা গড়তে এই জয় দারুনভাবে কাজে দিবে নব নিযুক্ত কোচ পচেত্তিনোকে।
গতকাল ম্যাচের বেশিরভাগ সময় বল দখলে রেখেও আক্রমণে ধার বাড়াতে পারেনি বার্সা। তবুও মেসির কল্যাণে এগিয়ে যায় ২৭তম মিনিটে। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন মেসি।
পিছিয়ে পড়ার পর আক্রমনের ধার আরো বাড়ায় পিএসজি। একের পর আক্রমণ করে ৩২তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান এমবাপ্পে। এরপর ৬৫তম মিনিটে ফের গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে নেন তিনি।
মাঝে ৭০তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-১ করেন কিন। আর শেষ বাঁশি বাজার ৫ মিনিট আগে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করার পাশাপাশি দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন এমবাপ্পে। পিএসজির জার্সিতে নকআউট পর্বে আগের নয় ম্যাচে মাত্র এক গোল করেছিলেন বিশ^কাপ জয়ী ফরাসি আন্তর্জাতিক। এবার এক ম্যাচেই করলেন তিনটি গোল।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

কোভিড-১৯ নিয়ম ভঙ্গের দায়ে বিচারের মুখোমুখি ল্যাৎসিও

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: লিপজিগকে ২-০ গোলে হারাল লিভারপুল