ভিতরে

বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব উন্নয়নে সম্মত বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য

সুত্র ও ছবিঃ বাসস

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য (ইউকে) ভবিষ্যতে একটি বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব উন্নয়নে সম্মত হয়েছে, যা বাংলাদেশ সল্পন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ ঘটলে দু’দেশের পারস্পারিক সমৃদ্ধি বাড়াবে এবং অর্থনীতির আরো উন্নয়ন ঘটাবে।
উভয় দেশ বিনিয়োগকে উৎসাহ দিয়ে বেসরকারি খাত-ভিত্তিক প্রবৃদ্ধিতে একটি পারস্পারিক অঙ্গীকারের মাধ্যমে এই বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন এবং পন্য রপ্তানি ও সেবার ক্ষেত্রে তাদের কোম্পানিগুলো যে বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়, তা সমাধানে সম্মত হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রাজধানীর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আলোচনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ ঐকমত্য হয়। বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন যুক্তরাজ্যকে এবং বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন বাংলাদেশ সরকারকে প্রতিনিধিত্ব করেন।
সভায়, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ জিএসপি, এলডিসি থেকে উত্তরণ, বিনিয়োগ সহযোগিতা, যুক্তরাজ্য সেবা খাতসমুহে বাংলাদেশী পেশাজীবীদের প্রবেশ, বাণিজ্যিক সুবিধা, ব্যবসা সহজীকরণ, আর্থিক খাতের উন্নয়ন, উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা, ট্যাক্স ইস্যু ও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সুরক্ষার মতো স্থানগুলোতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
জাফর উদ্দিন বলেন, ‘এই আলোচনাটি আমাদের পন্য, সেবা ও পেশাজীবীদের যুক্তরাজ্যের বাজারে প্রবেশের পথ সুগম করবে এবং বাংলাদেশে বিণিয়োগ ও আমাদের রপ্তানি বাড়াতে অবদান রাখবে।’
ডিকসন বলেন, ‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সাথে একটি বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা আমাদের উভয় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। বিদেশী বিনিয়োগ কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা আদান-প্রদান ও রাজস্ব সৃষ্টি করতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, অনুকূল ও গঠনমূলক ব্যবসা পরিবেশ ও বাজারে প্রবেশের বাধা দূর হলে উভয় দেশই উপকৃত হবে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

কোভিড পুনরুদ্ধার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় প্রয়োজন

দেশ-বিদেশে ৬ লাখ শিক্ষার্থী বাউবি’র ভার্চুয়ালি ক্লাশ করছে