ভিতরে

বাংলাদেশ বেতার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাবে : প্রধানমন্ত্রী

সুত্র ও ছবিঃ বাসস

বাংলাদেশ বেতার সরকারের চলমান ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করণসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ও দেশের মানুষের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ‘বিশ্ব বেতার দিবস ২০২১’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশার কথা বলেন।
বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষ্যে তিনি বেতারের শিল্পী, শ্রোতা, সম্প্রচারকর্মী ও কলাকুশলীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘নতুন বিশ্ব, নুতন বেতার’ সময়োপযোগী হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তথ্যসমৃদ্ধ বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান ও সংবাদ-সম্প্রচারের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় নিরন্তর সেবা পৌঁছে দিচ্ছে বেতার। একইসঙ্গে, সমসাময়িক যুগের চাহিদা মেটাতে ডিজিটাল-প্রযুক্তির সঙ্গে তালমিলিয়ে বর্তমানে এ্যাপস এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতারের সংবাদ ও অনুষ্ঠান দেশের পাশাপাশি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের শ্রোতার কাছেও পৌঁছে যাচ্ছে।
‘বাংলাদেশ বেতার নানা আয়োজনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ পালন করছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ আয়োজনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বেতারের সংবাদ ও অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন, সাংগঠনিক দক্ষতা, ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্ব ও রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর ভূমিকার ওপর সংবাদ-প্রতিবেদন ও বৈচিত্রময় অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই দেশে গণমাধ্যমের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরাই দেশে প্রথম বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালুর অনুমোদন দিই। আমরা ২০০৯ সাল থেকে গণমাধ্যম, তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে। বেসরকারি খাতে অনেকগুলো টেলিভিশন, এফএম রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণের ফলে টেলিভিশন-সম্প্রচারে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। দেশের গণমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বেতার যাত্রা শুরু করে। এরপর থেকে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কৃষি উন্নয়ন, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, শিক্ষার মানোন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সার্বিক উন্নয়নে বেতারের ভূমিকা অনবদ্য।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ হিসেবে আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিসংগ্রামে বাংলাদেশ বেতারের অনন্য ভূমিকা সর্বজনবিদিত। তৎকালীন স্বৈরশাসকের বাধার মুখে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ৮ মার্চে বেতারে প্রচার, মুক্তিকামী বাঙালি, জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ, সর্বোপরি স্বাধীনতা অর্জনে বাংলাদেশ বেতার সবসময় এদেশের জনগণের পাশে থেকেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন। তিনি ‘বিশ্ব বেতার দিবস ২০২১’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

উত্তরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে সরকারকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে : ডেপুটি স্পিকার

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ বেতার প্রয়াস অব্যাহত রাখবে প্রত্যাশা রাষ্ট্রপতির