ভিতরে

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

সুত্র ও ছবিঃ বাসস

চলতি মৌসুমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। গত রোববার পর্যন্ত এ অঞ্চলের ৬ জেলার চাষকৃত ৫৪ শতাংশ জমির সরিষা কর্তন করা হয়েছে।বাকি জমির সরিষা কর্তন চলতি মাসের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে বলে জানালেন আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: শরিফুল ইসলাম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলা হচ্ছে-যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা,কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও মাগুরা।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় ৫২হাজার ৩শ’৮৩ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে বলে । সরিষা তেলের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরাও প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও আগ্রহ সহকারে সরিষার চাষ করেছেন।সরিষা চাষে তেমন কোন খরচ নেই।সেচের প্রয়োজন হয় না।এ কারণে অনেক চাষি প্রতি বছর সরিষা চাষে মনোযোগী হচ্ছেন-এমনটাই বলেছেন কৃষি কর্মকর্তারা।বসত বাড়ির আশেপাশে অনাবাদি ও পতিত জমিতে সরিষা চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা।লাভজনক হওয়ায় অনেক প্রান্তিক ও বর্গাচাষি অর্থকরী এ ফসল চাষে দিন দিন ঝুঁকে পড়ছেন বলে আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে আরো জানা গেছে, চলতি মৌসুমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় মোট ৫২ হাজার ৩শ’৮৩ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। এর মধ্যে যশোর জেলায় সরিষার চাষ হয়েছে ১৫হাজার ৪শ’ ৬৫হেক্টর জমিতে। ঝিনাইদহে সরিষার চাষ হয়েছে ৯হাজার ৯শ’ ১৬ হেক্টরে। মাগুরায় সরিষার চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৪শ’৯৫ হেক্টরে। কুষ্টিয়ায় সরিষার চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৩শ’ ৫০ হেক্টরে। চুয়াডাঙ্গায় সরিষার চাষ হয়েছে ২হাজার ২শ’ ৫৭ হেক্টরে এবং মেহেরপুর জেলায় ৩ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।এ সব জমিতে উচ্চফলনশীল বারি সরিষা-৯,১১,১৪,১৫,১৭ ও বিনা সরিষা ৪,৭,৯,১০ এবং টরি-৭ জাতের সরিষার চাষ বেশি হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সরিষার ভালো ফলনের লক্ষ্যে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সরিষা চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ,পরামর্শ,মাঠ দিবস,উঠান বৈঠক,নতুন নতুন জাতের বীজ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।সরিষা চাষে অন্য ফসলের তুলনায় খরচ কম। সরিষায় পোকার আক্রমণ হয় না বললেই চলে।ফলনও বেশি। সরিষার খৈল গরুর খাবার হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।বাজারে সরিষার চাহিদা ব্যাপক থাকায় এ অঞ্চলে সরিষার চাষ দিন দিন বাড়ছে বলে তিনি জানান।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো: শরিফুল ইসলাম জানান, যেসব জমির সরিষা কাটা হয়েছে সেসব জমিতে কৃষকরা ইরি-বোরো ধান রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।সরিষা চাষে একদিকে যেমন তেলের চাহিদা মিটিয়ে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হন কৃষকরা, অন্যদিকে জমিতে জৈব সারের ঘাটতি পূরণ হয়ে থাকে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

জয়পুরহাট ও পাবনায় ‘ডিজিটাল ই-ট্রাফিক’ ব্যবস্থাপনা চালু

দুবাইয়ে বাংলাদেশের রোড-শো