ভিতরে

দুবাইয়ে বাংলাদেশের রোড-শো

হালকা বিমান থেকে নেওয়া দুবাইয়ের দৃশ্য। শাইখ জায়েদ রোড এবং 'বুর্জ আল আরব' ৭ তারা হোটেল এবং অন্যান্য হোটেলগুলির সাথে দুবাইয়ের জনপ্রিয় পর্যটন অঞ্চল।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসীদের বিনিয়োগ বাড়াতে চায় সরকার। এই জন্য বিদেশে রোড-শো করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রথম ধাপে ৯ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চার দিনব্যাপী এ রোড-শো করা হবে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাইজিং অব বেঙ্গল টাইগার পটেনশিয়াল অব বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেটস’।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মঙ্গলবার বিএসইসির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রহমান ও মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, “বহুজাতিক কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে শেয়ারবাজার শক্তিশালী হয়। কিন্তু তালিকাভুক্তির জন্য কর ছাড় দেওয়া উচিত। বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে তাদের রুলস রেগুলেশন মানতে ২ থেকে ৩ শতাংশ আরও খরচ বেড়ে যাবে। এতে তারা তালিকাভুক্তির আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তাছাড়া বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর টাকার প্রয়োজন হয় না। কারণ তাদের অতিরিক্ত অর্থ রয়েছে। যে কারণে তাদের কিছু প্রণোদনা দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে একমাত্র উপায় কর ছাড়। বর্তমানে শেয়ারবাজারে এবং বাইরে কোম্পানির করপোরেট করের ব্যবধান সাড়ে ৭ শতাংশ। এতে বহুজাতিক কোম্পানি তালিকাভুক্তির আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ফলে এই ব্যবধান ১৫ শতাংশ করা হলে তারা তালিকাভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী হবে।”

দুবাইয়ের অনুষ্ঠানের ব্যাপারে শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, “এই আয়োজনকে রোড-শো বলা হচ্ছে। কিন্তু এটি সচরাচর ঘটে যাওয়া রোড শোর মতো নয়। এবারের অনুষ্ঠানে বিদেশি এবং প্রবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে কিছু বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। চারদিনের এই অনুষ্ঠানে থাকছে ভিন্ন ভিন্ন আয়োজন এবং বিশেষ কিছু আকর্ষণ। এরমধ্যে অনিবাসী বাংলাদেশি, সুকুক বা ইসলামিক বন্ডে আগ্রহী, এঞ্জেল ইনভেস্টর, ভেনচার ক্যাপিটালিস্টসহ বিভিন্ন সেক্টর থেকে আগত অতিথিদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আয়োজন। এ ছাড়া লন্ডন, রোম, টরেন্টো, হংকং, নিউইয়র্ক, সিঙ্গাপুর, টোকিও, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন উন্নত শহরে ভবিষ্যতে এই আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা হয়ে উঠছে না। তবে দুবাইয়ের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। তাই দুবাই দিয়েই এই আয়োজনের সূচনা।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুবাই মলের কাছে স্কাইভিউ হোটেলে এই রোড-শো অনুষ্ঠিত হবে। বিএসইসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কমিশনার ও নির্বাহী পরিচালক, দুই স্টক এক্সচেঞ্জ, সিএসইসহ পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। রোড-শোতে মোট পাঁচটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারগুলোতে বিএসইসির চেয়ারম্যানসহ পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন।

৯ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রবাসীদের নিয়ে ইনভেস্টর সামিট : বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট অনুষ্ঠিত হবে। দুপুরে একই বিষয়ে সেমিনার হবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে।

১০ ফেব্রুয়ারি সকালে সুকুক : দ্য নিউ ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটি ইন বাংলাদেশ শিরোনামে একটি সেমিনার হবে। এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা অংশ নেবেন।

১১ ফেব্রুয়ারি সকালে স্কোপ অব প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যান্ড ভেনচার ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ শিরোনামে একটি সেমিনার হবে। এখানেও অংশ নেবেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।

১২ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বৈঠক। এখানে বিনিয়োগকারীদের ছোট ছোট গ্রুপ অংশ নেবে।

আপনি কি মনে করেন?

0 টি পয়েন্ট
উপনোট ডাউনভোট

একটি মন্তব্য

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

প্রতিবাদ সমাবেশে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন রুহুল কবির রিজভী